শিরোনাম
প্রকাশ: ০০:০০, রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৩ আপডেট:

বিশ্বব্যাংকে অসামান্য উন্নয়নের গল্প বলবেন শেখ হাসিনা

ড. আতিউর রহমান
Not defined
প্রিন্ট ভার্সন
বিশ্বব্যাংকে অসামান্য উন্নয়নের গল্প বলবেন শেখ হাসিনা

নিঃসন্দেহে বাংলাদেশ এক অসামান্য উন্নয়নের গল্প। তবে গল্পটি বিশ্ববাসীকে এখন অবধি ভালো করে বলা হয়ে ওঠেনি। সব বাধা, হতাশা ও বিপর্যয় পায়ে দলে বঙ্গবন্ধুর সৃষ্ট ‘লড়াকু বাংলাদেশ’ কী করে জোর কদমে এগিয়ে চলেছে সমৃদ্ধির সোনালি স্বপ্ন পূরণের দিকে সেই গল্পটি প্রতিদিনই নতুন নতুন রূপে উদ্ভাসিত হচ্ছে। এই গল্পের সমকালীন রূপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে উপস্থিত থাকবেন বিশ্বব্যাংকের সদর দফতরে আসছে ১ মে তারিখে। বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের উন্নয়ন অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপনের অংশ হিসেবে আয়োজিত এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে তিনি যোগ দেবেন। বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপ্যাসের বিশেষ আমন্ত্রণে তিনি এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এ বছর জানুয়ারি মাসে বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ ঢাকায় এসেছিলেন অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপনের সূচনা অনুষ্ঠানে। সে সময়ে তিনি বলেছিলেন দারিদ্র্য নিরসন ও সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সাফল্যের গল্পটি আসলেই অনুকরণীয়। ১৯৭২ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের পুনর্নির্মাণের জন্য পাঁচ কোটি ডলার সহযোগিতার মাধ্যমে যে গল্পের শুরু তার আকার বেড়ে বাংলাদেশকে দেয় বিশ্বব্যাংকের ঋণসহায়তার অঙ্গীকার এ বছর তিনশো কোটি ডলারেরও বেশি। গত পঞ্চাশ বছরে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে গ্র্যান্ট, সুদমুক্ত ও সহজ শর্তের ঋণ বাবদ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের অঙ্গীকার করেছে। অবশ্যি, স্লথ বাস্তবায়নের কারণে এই অর্থের পুরোটা খরচ করা যায়নি। এ সময়টায় বাংলাদেশ যে পরিমাণ বিদেশি সাহায্য পেয়েছে তার এক চতুর্থাংশই এসেছে বিশ্বব্যাংক থেকে। শুধু বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সমিতি বা আইডিএ থেকে এ যাবৎ ১৬ বিলিয়ন ডলারের ঋণ পেয়েছে বাংলাদেশ। ৫৬টি প্রকল্পে এই ঋণ পাওয়া গেছে।

কারিগরি, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং আর্থিক সহযোগিতার অধীনে বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবেই বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ ও অন্যান্য সহায়তা পেয়ে আসছে। মাঝে ২০১২ সালে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ঋণ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের বড় ধরনের টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়। নিজের আত্মমর্যাদা রক্ষার প্রশ্নে অবিচল বাংলাদেশ সে সময় এই ঋণ প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেয়। এত বড় প্রকল্প নিজেদের অর্থে বাস্তবায়নের এক সাহসী সিদ্ধান্ত নেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। প্রকল্পটি এখন বাংলাদেশর আত্ম-উন্নয়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। পরে অবশ্যি বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে।

২০১২ সালের এই ‘দুর্ঘটনার’ পরেও বছরে এক বিলিয়ন ডলারের মতো ঋণ ও অন্যান্য সহায়তার অঙ্গীকার করতে থাকে বিশ্বব্যাংক। অচিরেই তা দুই বিলিয়ন ডলারে উঠে যায়। আর আগেই বলেছি, চলতি অর্থবছরে তো তা তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলাদেশ এক দশকের মধ্যে উচ্চ মধ্যআয়ের দেশ হওয়ার যে ‘ভিশন’ বা সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য ঠিক করেছে তাতে প্রচুর অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন রয়েছে। আর এ ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের বড় উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। কভিড থেকে অর্থনীতিকে জাগিয়ে তোলার জন্য তিরিশ কোটি ডলারের সহায়তা দেওয়ার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়নের জন্য জলবায়ু-বান্ধব অবকাঠামো উন্নয়নে ধরনের সহায়তার উদ্যোগ নিতে তার অঙ্গীকারের কথা বলে যাচ্ছে। বাজেট সহায়তাসহ এসব উদ্যোগের জন্য ১ মে তারিখেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই অন্তত পাঁচটি প্রকল্পের জন্য দুই বিলিয়ন ২৫৩ মিলিয়ন ঋণচুক্তি সই হবে। আগামীতে এই সহযোগিতার পরিমাণ আরও বাড়বে। কেননা বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিপুল, অভ্যন্তরীণ বাজারও বড়। এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে:

এক. আঞ্চলিক সংযোগ বা কানেক্টিভিটি প্রকল্পের জন্য ৭৫৩ মিলিয়ন ডলার।

দুই. ‘সবুজ, সহিষ্ণু অন্তর্ভুক্তি উন্নয়ন’ (‘গ্রিড’) প্রকল্পের জন্য ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তা।

তিন. জলবায়ু সহিষ্ণু, অভিযোজন ও ঝুঁকি নিরসনের অবকাঠামো (‘বিভার’) বাবদ ৫০০ মিলিয়ন ডলার।

চার. বাংলাদেশ পরিবেশ টেকসই ও রূপান্তর (‘বেস্ট’) প্রকল্প বাবদ ২৫০ মিলিয়ন ডলার।

পাঁচ. পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) একটি প্রকল্প বাবদ ২৫০ মিলিয়ন ডলার।

এ ছাড়াও পাঁচশ মিলিয়ন ডলারের আরও একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য পাইপলাইনে রয়েছে।

পয়লা মে’র অনুষ্ঠানে এসব প্রকল্পের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরের পাশাপাশি বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের সঙ্গে তার পঞ্চাশ বছরের অংশীদারিত্বের সাফল্য তুলে ধরবে নানা আয়োজনের মাধ্যমে। বিশেষ করে এত সীমিত সম্পদ নিয়ে উন্নয়ন অভিযাত্রা শুরু করে মাত্র চার দশকের মাথায় কী করে বাংলাদেশ নিম্ন-মধ্য আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জন করল এবং দারিদ্র্য নিরসনের ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যের দাবিদার হতে পারল-সেই গল্পটিই এই অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হবে। সংকট উত্তরণে বাংলাদেশের সাফল্যের কারণেই আইএমএফ ৪.৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। আর এই প্রেক্ষাপটে এডিবি, এনডিবি, জাইকা ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীরাও বাংলাদেশকে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। এই সাহায্য পেতে যে নীতি সংস্কারের প্রয়োজন সে কথা বাংলাদেশ জানে এবং মানে। সেজন্যই বিদেশি সাহায্য তাই বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন অনেকটাই স্থিতিশীল ও বাড়ন্ত। নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশের অর্জন নিঃসন্দেহে চোখে পড়ার মতো। বাংলাদেশ তার সর্বশেষ খানা পর্যায়ের আয়-ব্যয়ের জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে। কভিডের সময় সাময়িক ধাক্কা খেলেও দ্রুতই দেশটি তার দারিদ্র্য নিরসনের অগ্রযাত্রা অক্ষুণ্ন রাখতে সক্ষম হয়েছে। ইউক্রেন যুদ্ধে সরবরাহ চেইন ভেঙে পড়া এবং জ্বালানির তেল, ভোজ্যতেল ও সারের দাম বাড়ার কারণে বিশ্ব ও স্থানীয় পর্যায়ে মূল্যস্ফীতি বাড়ন্ত থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ তার কৃষি, প্রবাসী আয় এবং রপ্তানিমুখী শিল্পকে চাঙ্গা রেখে যেভাবে সারা দেশে কর্মসংস্থানধর্মী ছোট, মাঝারি ও বড় উদ্যোগগুলো সচল রেখেছে তা সত্যি দেখার মতো। এর প্রভাব গিয়ে দারিদ্র্য নিরসনের ওপর নিশ্চয় পড়েছে। নিঃসন্দেহে শহরের অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মরত মানুষের আয় রোজগার খানিকটা কমেছে। কভিডকালে এদের একটি অংশ গ্রামে ফিরে গেছে। গ্রাম-বাংলা তাদের নিরাশ করেনি। গ্রামের বাড়ন্ত কৃষি ও অ-কৃষি খাতের সক্রিয়তায় এদের অনেকের কর্মসংস্থান করা গেছে। শিক্ষিত তরুণরাও গ্রামে গিয়ে নয়া উদ্যোক্তা হয়েছে। এরই মধ্যে পদ্মা সেতুসহ স্থানীয় আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি-সহায়ক অসংখ্য অবকাঠামো সম্পন্ন হয়েছে। ডিজিটাল অর্থায়নের উদ্ভাবনীমূলক অবকাঠামোরও প্রসার ঘটেছে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বলা যায় বিপ্লবই ঘটে গেছে। মোবাইল ব্যাংকিং, এজেন্ট ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ প্রযুক্তিনির্ভর আধুনিক লেনদেন ব্যবস্থার সুযোগ হাওর, চর ও পার্বত্য এলাকাসহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। একমাত্র মোবাইল আর্থিক সেবার অধীনেই এখন প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে। তা ছাড়া এজেন্ট ব্যাংকিং ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা তো আছেই। বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় আনতেও এই নয়া ব্যাংকিং ব্যবস্থা বেশ কাজে লাগছে।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিটাইজেশনেও বিশ্বব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। এর সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উদ্যোগে কৃষি, এমএসএমই এবং সরকারের বহুমুখী সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির অধীনে যে হারে অর্থ শহর থেকে গ্রামে যাচ্ছে তার প্রভাব তো দারিদ্র্য নিরসনে পড়বেই। তাই ২০০৬ সালে দারিদ্র্যের যে হার ৪১ শতাংশ ছিল তা ২০২২ সালে ১৮.৭ শতাংশে নেমে এসেছে। অতি দারিদ্র্যের হারও ২৫ শতাংশ থেকে কমে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যেভাবে প্রত্যেক পরিবারকে শিক্ষার সুযোগ ছাড়াও গৃহনির্মাণের এবং কমিনিউটি ক্লিনিকের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা করা হচ্ছে তাতে অচিরেই অতি দারিদ্র্যে হার ২-৩ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হবে। এমনটি হলেই অতি-দারিদ্র্যের হার শূন্য বলা যাবে।

এমনি এক বাস্তবতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংক যাচ্ছেন তাঁর নেতৃত্বের সংবেদনশীলতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের অসামান্য গল্প বলার জন্য। অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই যে তাঁর মাটিঘেঁষা জনবান্ধব নেতৃত্বের গুণেই বাংলাদেশ দারিদ্র্যের হার দেড় দশকেই অর্ধেকেরও নীচে নামানো সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি কভিড ও ইউক্রেন সংকট সত্ত্বেও প্রবৃদ্ধির হার ছয় শতাংশের বেশি রাখা গেছে। লেগে থাকা এবং সুদূরপ্রসারী এই নেতৃত্বের কারণেই বাংলাদেশের পরিশ্রমী মানুষ ও উদ্যোক্তারা তাদের অসীম সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের নতুন নতুন উপাখ্যান তৈরি করে চলেছেন। বিশেষ করে আমাদের নারী জনশক্তি ও ছোটখাটো উদ্যোক্তাদের কর্মোদ্যম এবং সংকটেও জেগে ওঠার যে বিরল উদাহরণ সৃষ্টি করা গেছে সে কথা নিশ্চয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্ববাসীকে বলতে কার্পণ্য করবেন না। বাংলাদেশ শুধু নেয় না, এ বিশ্বকে তার নেতৃত্বের ও উদ্যোক্তাদের উদ্যম, উদ্ভাবন এবং সাহসের পরাকাষ্ঠাও যে উপহার হিসেবে সারা বিশ্বকে দিতে পারে সেই বার্তাটিও নিশ্চয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে দেবেন। অথবা তা এমনিতেই উদ্ভাসিত হবে। বাংলাদেশের সমৃদ্ধ উন্নয়ন অভিজ্ঞতা বিশ্বের উন্নয়ন সম্পর্কিত জ্ঞানের ভাণ্ডারকে আরও শক্তিশালী করতে পারে- এই কথাটিও তিনি বিশ্বব্যাংকে গিয়ে জোর দিয়েই বলবেন বলে আশা করা যায়।

তাই মোটেও অবাক হইনি যখন ১৬ এপ্রিল চ্যানেল আইয়ের এক সংবাদ প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বিশ্ব ব্যাংকের সাবেক কান্ট্রি ডিরেক্টর (যিনি এখন ঐ প্রতিষ্ঠানের ভাইস প্রেসিডেন্ট) মার্সি টেম্বন বলেন, “বঙ্গবন্ধুকন্যাকে বিশ্বব্যাংকে স্বাগত জানানোর অপেক্ষায় তারা। ফিনিক্স পাখির মতো ধ্বংসের আগুনের ছাই থেকে পুনর্জন্ম হওয়া ব-দ্বীপটির ঘুরে দাঁড়ানোর অসামান্য গল্প গোটা বিশ্বকে জানাতে চান তিনিও।” তাঁর কথার সঙ্গে সুর মিলিয়েই বলতে চাই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর আসন্ন বিশ্বব্যাংক উৎসবে শুধু আমাদের অতীতের অর্জনের কথাই বলবেন না। নৈরাশ্যবাদীদের নেতিবাচক প্রচারণার বিপরীতে পরিশ্রমী একটি জাতি গোষ্ঠী কি করে অর্থনৈতিক মুক্তির লড়াই করে করে এই পর্যায়ে এলো সেই অর্জনের পাশাপাশি তিনি আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নের কথাও নিশ্চয় বলবেন। একই সঙ্গে তিনি বিশ্ব অর্থনীতির পরিবর্তিত পরিস্থিতির আলোকে তাঁর নীতি-আকাক্সক্ষার কথাও বলবেন। জি-২০ সম্মেলনকে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এরই মধ্যে বিশ্ব নেতৃত্বের কাছে তাঁর ছয়দফা প্রস্তাবনা রেখেছেন। অনুমান করা যায় সেসবের নির্যাসও এই বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানে পুনরাবৃত্তি করার সুযোগ তিনি পাবেন। ঐ ছয় দফায় তিনি বলেছেন :

০১) বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মানব সমাজের বৃহত্তর কল্যাণের পথকে সুগম করা;

০২) এসডিজির লক্ষ্যগুলোর পাশাপাশি বৈষম্য কমিয়ে আনা;

০৩) স্বল্পোন্নত দেশ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার দেশগুলোর জন্য আলাদা তহবিল গঠন;

০৪) চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রেক্ষাপটে সারা বিশ্বে ডিজিটাল ডিভাইড কমিয়ে এনে নারীসহ সবাকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলা;

০৫) রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আরও বেশি সংবেদনশীলতা

০৬) দক্ষিণের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী, ব্যক্তিখাত থিংক ট্যাংক এবং অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিত উন্নয়ন প্রয়াস পরিচালনা করা।

বিশ্বব্যাংক বর্তমান বিশ্বে প্রধান এক আন্তর্জাতিক সহযোগী। চলমান ভূ-রাজনৈতিক টানাপোড়েন এড়িয়ে কি করে সাধারণ মানুষের কল্যাণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো নিরবিচ্ছিন্নভাবে তাদের উন্নয়ন অভিযাত্রা অক্ষুন্ন রাখতে পারে সেই পথকে সুগম করাও বিশ্বব্যাংকের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। আশা করি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বব্যাংক সফরের মধ্য দিয়ে বিশ্ব শান্তি ও বিশ্ব জনকল্যাণের ক্ষেত্রের পরিসরকে আরও প্রসারীত করার সুযোগ এনে দেবে। বিশ্ব ব্যাংকেও বইছে নেতৃত্বের পরিবর্তনের হাওয়া। এই প্রথম উন্নয়নশীল বিশ্বের একজন উদ্যোক্তা-নেতা মি. অজয় বাঙ্গা বিশ্বব্যাংকের নেতৃত্বে আসছেন। বিশ্ব অর্থনীতির এই টালমাটাল পরিস্থিতিতে সবাই অপেক্ষায় আছেন বিশ্বব্যাংকের নয়া নেতৃত্বে কি করে উত্তপ্ত ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতায় পরিবর্তনশীল এই বিশ্বের অর্থনৈতিক চাওয়া পাওয়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নয়া বিশ্ব অর্থনৈতিক কাঠামো নির্মাণে সহযোগী হবেন। নিশ্চয় তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘতম সময়ের অভিজ্ঞ প্রধানমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত অথচ গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় হবে। আশা করছি আগামী দিনের মানবিক ও জলবায়ু-বান্ধব পৃথিবী গড়তে এই দুই নেতার যোগাযোগ ও বোঝাপড়া বাংলাদেশসহ সব উন্নয়নশীল দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে সম্প্রতি বাংলাদেশ যে ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক প্রকাশ করেছে তাতে এই অঞ্চলে “টেকসই উন্নয়ন, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, মানবিক কার্যক্রম এবং মৌলিক অধিকার ও স্বাধীনতা সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে গঠনমূলক আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জোর দার করা”র কথা বলা হয়েছে। সেই অভিপ্রায় বাস্তবায়নে চাই ভারসাম্যপূর্ণ স্মার্ট অর্থনৈতিক কূটনীতি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের পঞ্চাশ বছর উদযাপনের এই অনুষ্ঠানে যোগদান এবং তাতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার রূপরেখা নির্ধারণে তাঁর অভিমত-বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সব দেশের উন্নয়নকামী সব মানুষের কাক্সিক্ষত নির্বিরোধ অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন অভিযাত্রায় তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা করা নিশ্চয় অযৌক্তিক হবে না।

লেখক : বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই বিভাগের আরও খবর
গাজায় শক্তিশালী হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর
গাজায় শক্তিশালী হামলার নির্দেশ নেতানিয়াহুর
নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় ফখরুল-কুক
নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় ফখরুল-কুক
নভেম্বরে গণভোটসহ ১৮ দাবি
নভেম্বরে গণভোটসহ ১৮ দাবি
অস্পষ্ট বলছে এনসিপি
অস্পষ্ট বলছে এনসিপি
আসিফ নজরুল প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন
আসিফ নজরুল প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন
আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের পর দেউলিয়া
আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের পর দেউলিয়া
নির্বাচনে বৃহৎ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ
নির্বাচনে বৃহৎ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে ইইউ
এক লাফে সোনার দাম কমল সাড়ে ১০ হাজার টাকা
এক লাফে সোনার দাম কমল সাড়ে ১০ হাজার টাকা
সংস্কারের বিপক্ষের কারও সঙ্গে জোট করবে না এনসিপি
সংস্কারের বিপক্ষের কারও সঙ্গে জোট করবে না এনসিপি
তিন বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা নয় তথ্য চেয়েছেন
তিন বিচারপতির কাছে ব্যাখ্যা নয় তথ্য চেয়েছেন
সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ পাকিস্তান যৌথ বাহিনী চেয়ারম্যানের
সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ পাকিস্তান যৌথ বাহিনী চেয়ারম্যানের
কিছু উপদেষ্টা চক্রান্ত করছেন
কিছু উপদেষ্টা চক্রান্ত করছেন
সর্বশেষ খবর
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি চলছে
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি চলছে

১ সেকেন্ড আগে | জাতীয়

ব্রাজিলে পুলিশের অভিযানে নিহত বেড়ে ৬৪
ব্রাজিলে পুলিশের অভিযানে নিহত বেড়ে ৬৪

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে ঘূর্ণিঝড় মোন্থার আঘাতে নারীর মৃত্যু
ভারতে ঘূর্ণিঝড় মোন্থার আঘাতে নারীর মৃত্যু

৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারতে দিওয়ালিতে জনপ্রিয় এক বাজি ফেটে অন্ধ বহু শিশু-কিশোর
ভারতে দিওয়ালিতে জনপ্রিয় এক বাজি ফেটে অন্ধ বহু শিশু-কিশোর

৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

গাজায় শান্তিচুক্তি টিকে থাকবে, ইসরায়েলি হামলা পরও দাবি যুক্তরাষ্ট্রের
গাজায় শান্তিচুক্তি টিকে থাকবে, ইসরায়েলি হামলা পরও দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

২১ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পিস্তলসহ ৯ জন গ্রেফতার
ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পিস্তলসহ ৯ জন গ্রেফতার

২৭ মিনিট আগে | নগর জীবন

আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব পেল ফিলিপাইন
আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব পেল ফিলিপাইন

৩০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘স্কাই স্টেডিয়াম’ নির্মাণ করছে সৌদি
‘স্কাই স্টেডিয়াম’ নির্মাণ করছে সৌদি

৩৩ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ছত্রাক দিয়েই সম্ভব মেমোরি চিপ : গবেষকদের নতুন উদ্ভাবন
ছত্রাক দিয়েই সম্ভব মেমোরি চিপ : গবেষকদের নতুন উদ্ভাবন

৩৩ মিনিট আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

ক্যারিয়ার ও ব্যবসা উন্নয়নে কানাডায় বিবিসিসি’র প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং সেশন
ক্যারিয়ার ও ব্যবসা উন্নয়নে কানাডায় বিবিসিসি’র প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং সেশন

৪৫ মিনিট আগে | পরবাস

বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ প্রভাব ফেলছে পরিবার পরিকল্পনায়ও
বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ প্রভাব ফেলছে পরিবার পরিকল্পনায়ও

৪৭ মিনিট আগে | পাঁচফোড়ন

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি: ১৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবি: ১৮ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মরদেহ উদ্ধার

৫০ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

রাজনীতির বিবর্তন! বানর থেকে বিজ্ঞানী
রাজনীতির বিবর্তন! বানর থেকে বিজ্ঞানী

৫৮ মিনিট আগে | মুক্তমঞ্চ

স্কুলে ভর্তিতে লটারি নাকি পরীক্ষা, সিদ্ধান্ত হতে পারে আজ
স্কুলে ভর্তিতে লটারি নাকি পরীক্ষা, সিদ্ধান্ত হতে পারে আজ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ অঙ্গরাজ্যের মামলা
ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২৫ অঙ্গরাজ্যের মামলা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে প্রকাশ্যে গুলি, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দ্রুত মূল্য হারাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী অনেক ডিগ্রি : হার্ভার্ডের গবেষণা
দ্রুত মূল্য হারাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী অনেক ডিগ্রি : হার্ভার্ডের গবেষণা

১ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন

ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে ‘গ্লোবাল মিডিয়া এন্ড ইনফরমেশন লিটারেসি’ সপ্তাহ উদযাপন
ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটিতে ‘গ্লোবাল মিডিয়া এন্ড ইনফরমেশন লিটারেসি’ সপ্তাহ উদযাপন

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

সহজ জয়ে সিরিজে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা
সহজ জয়ে সিরিজে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

সিরিজ বাঁচাতে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ
সিরিজ বাঁচাতে আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নারায়ণগঞ্জে আজ থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
নারায়ণগঞ্জে আজ থেকে টানা ৪৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না

১ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তুরস্কে জুয়া কেলেঙ্কারিতে জড়িত ৩৭১ রেফারি
তুরস্কে জুয়া কেলেঙ্কারিতে জড়িত ৩৭১ রেফারি

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ইতালিতে বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্তদের মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশিরা
ইতালিতে বসবাসের অনুমতিপ্রাপ্তদের মধ্যে শীর্ষে বাংলাদেশিরা

১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ফের কমেছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর
ফের কমেছে স্বর্ণের দাম, আজ থেকে কার্যকর

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

খোলা বাজারে ডলার ১২৫ টাকায়, ব্যাংকেও বাড়ছে দাম
খোলা বাজারে ডলার ১২৫ টাকায়, ব্যাংকেও বাড়ছে দাম

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

কেমন আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন
কেমন আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন

২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

আজকের খেলা: ২৯ অক্টোবর ২০২৫
আজকের খেলা: ২৯ অক্টোবর ২০২৫

২ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

নেতানিয়াহুর নির্দেশে গাজায় নতুন হামলা, নিহত ২০
নেতানিয়াহুর নির্দেশে গাজায় নতুন হামলা, নিহত ২০

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

কদাকার বিষোদ্‌গার : ছাড় নেই সেনাবাহিনীরও
কদাকার বিষোদ্‌গার : ছাড় নেই সেনাবাহিনীরও

২ ঘণ্টা আগে | মুক্তমঞ্চ

সর্বাধিক পঠিত
মস্কোকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকি বেলজিয়ামের
মস্কোকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার হুমকি বেলজিয়ামের

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

মাদুরোকে ধরার গুপ্তচর নাটক: পাইলটকে প্রলুব্ধ করে ব্যর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র
মাদুরোকে ধরার গুপ্তচর নাটক: পাইলটকে প্রলুব্ধ করে ব্যর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোটের সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের
জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোটের সুপারিশ ঐকমত্য কমিশনের

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

টঙ্গীর ইমাম মুহিবুল্লাহ মিয়াজীকে অপহরণের ঘটনা মিথ্যা : জিএমপি
টঙ্গীর ইমাম মুহিবুল্লাহ মিয়াজীকে অপহরণের ঘটনা মিথ্যা : জিএমপি

২০ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

আসিফ নজরুলকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর
আসিফ নজরুলকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

খালেদা জিয়াকে আপসহীন নেত্রী উল্লেখ করে স্মৃতিচারণ করলেন সাদিক কায়েম
খালেদা জিয়াকে আপসহীন নেত্রী উল্লেখ করে স্মৃতিচারণ করলেন সাদিক কায়েম

১৩ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

সালমানের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার চেয়ে যা বললেন শাবনূর
সালমানের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার চেয়ে যা বললেন শাবনূর

২২ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়: নাহিদ
এই মুহূর্তে আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়: নাহিদ

১৭ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে হবে : আমীর খসরু
জাতীয় নির্বাচনের দিনই গণভোট হতে হবে : আমীর খসরু

১৭ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

বিশ্বকাপ নিয়ে মেসির ইঙ্গিত: খেলতে চান, তবে শর্ত একটাই!
বিশ্বকাপ নিয়ে মেসির ইঙ্গিত: খেলতে চান, তবে শর্ত একটাই!

২৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অলিনের সেঞ্চুরিতে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ
অলিনের সেঞ্চুরিতে সিরিজে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ

১৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

ভেবেছিলাম ৩০ পেরোলেই বিয়ে করব: তামান্না
ভেবেছিলাম ৩০ পেরোলেই বিয়ে করব: তামান্না

১৭ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা
এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ বিষয়ে জরুরি নির্দেশনা

২১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

তত্ত্বাবধায়ক ফিরলেও নির্বাচন এ সরকারের অধীনেই হবে : শিশির মনির
তত্ত্বাবধায়ক ফিরলেও নির্বাচন এ সরকারের অধীনেই হবে : শিশির মনির

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বিপিএলে দল নিতে আগ্রহী যে ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি
বিপিএলে দল নিতে আগ্রহী যে ১০ ফ্র্যাঞ্চাইজি

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অরুণাচলের কাছে চীনের ৩৬টি বিমান বাংকার, চিন্তায় ভারত
অরুণাচলের কাছে চীনের ৩৬টি বিমান বাংকার, চিন্তায় ভারত

২১ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ড্যাবের সভাপতি হারুন, মহাসচিব শাকিল
ড্যাবের সভাপতি হারুন, মহাসচিব শাকিল

১৮ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ট্রাম্পকে নোবেল পুরষ্কারে মনোনয়ন দেবেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী
ট্রাম্পকে নোবেল পুরষ্কারে মনোনয়ন দেবেন জাপানি প্রধানমন্ত্রী

২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের পর দেউলিয়া হয়ে গেছে : তথ্য উপদেষ্টা
আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের পর দেউলিয়া হয়ে গেছে : তথ্য উপদেষ্টা

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

বোরকা বিতর্কে জোব্বা পরে কোরআন হাতে ক্লাস নিয়ে আরেক শিক্ষকের প্রতিবাদ
বোরকা বিতর্কে জোব্বা পরে কোরআন হাতে ক্লাস নিয়ে আরেক শিক্ষকের প্রতিবাদ

১৯ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

ভারতে আঘাত হানলো ঘূর্ণিঝড় মোন্থা
ভারতে আঘাত হানলো ঘূর্ণিঝড় মোন্থা

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

১৯ বছর পর বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ফিরল ক্রিকেট
১৯ বছর পর বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ফিরল ক্রিকেট

১৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের দিকে চোখ তুরস্কের, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ১১ বিলিয়নের চুক্তি
অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের দিকে চোখ তুরস্কের, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ১১ বিলিয়নের চুক্তি

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

সময় চেয়ে ৪ মাসেও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাননি বিজিএমইএ সভাপতি
সময় চেয়ে ৪ মাসেও প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ পাননি বিজিএমইএ সভাপতি

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ ২ নভেম্বর
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ ২ নভেম্বর

১৩ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

সংসদ ব্যর্থ হলে প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে: আলী রীয়াজ
সংসদ ব্যর্থ হলে প্রস্তাবগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংবিধানে যুক্ত হবে: আলী রীয়াজ

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘২০ বছর পর ট্রেনে চড়লাম’ বলে সমালোচিত কৌশানি
‘২০ বছর পর ট্রেনে চড়লাম’ বলে সমালোচিত কৌশানি

১৬ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অস্ত্র মামলায় সম্রাটের যাবজ্জীবন
অস্ত্র মামলায় সম্রাটের যাবজ্জীবন

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

৪ হাজার কোটি টাকার মিল হাতিয়ে নেন পানির দরে
৪ হাজার কোটি টাকার মিল হাতিয়ে নেন পানির দরে

২ ঘণ্টা আগে | অর্থনীতি

‘রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে বিএনপি বেকার যুবকদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে’
‘রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে বিএনপি বেকার যুবকদের ব্যাপক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে’

১৫ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রিন্ট সর্বাধিক
পর্যটন বিকাশে হচ্ছে ‘বর্ডার ড্রাইভ’
পর্যটন বিকাশে হচ্ছে ‘বর্ডার ড্রাইভ’

নগর জীবন

আসিফ নজরুল প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন
আসিফ নজরুল প্রধান উপদেষ্টা হতে চেয়েছিলেন

প্রথম পৃষ্ঠা

চরম ক্ষুব্ধ বিএনপি
চরম ক্ষুব্ধ বিএনপি

প্রথম পৃষ্ঠা

এক লাফে সোনার দাম কমল সাড়ে ১০ হাজার টাকা
এক লাফে সোনার দাম কমল সাড়ে ১০ হাজার টাকা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

কিছু উপদেষ্টা চক্রান্ত করছেন
কিছু উপদেষ্টা চক্রান্ত করছেন

প্রথম পৃষ্ঠা

স্ট্রোকের চিকিৎসা ঢাকাকেন্দ্রিক
স্ট্রোকের চিকিৎসা ঢাকাকেন্দ্রিক

পেছনের পৃষ্ঠা

শিমুল গাছের বয়স ২০০ বছর
শিমুল গাছের বয়স ২০০ বছর

পেছনের পৃষ্ঠা

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ১২ জন
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ১২ জন

নগর জীবন

হাইব্রিড মরিচে কৃষকের মুখে হাসি
হাইব্রিড মরিচে কৃষকের মুখে হাসি

পেছনের পৃষ্ঠা

বডি-ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ
বডি-ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ পাকিস্তান যৌথ বাহিনী চেয়ারম্যানের
সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ পাকিস্তান যৌথ বাহিনী চেয়ারম্যানের

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ১০ লক্ষাধিক শিশু
ঝুঁকিপূর্ণ কাজে ১০ লক্ষাধিক শিশু

পেছনের পৃষ্ঠা

বেশির ভাগ অবৈধ সম্পদ হিসাবের বাইরে
বেশির ভাগ অবৈধ সম্পদ হিসাবের বাইরে

প্রথম পৃষ্ঠা

বিএনপি-জামায়াত ছাড়া মাঠে নেই অন্য কেউ
বিএনপি-জামায়াত ছাড়া মাঠে নেই অন্য কেউ

নগর জীবন

দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ
দেশজুড়ে নির্বাচনি আমেজ

প্রথম পৃষ্ঠা

লিটনদের ফেরার ম্যাচ আজ
লিটনদের ফেরার ম্যাচ আজ

মাঠে ময়দানে

প্রয়াত মন্ত্রী নাসিমের স্ত্রী-সন্তানসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
প্রয়াত মন্ত্রী নাসিমের স্ত্রী-সন্তানসহ পাঁচজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

খবর

ঐকমত্যের অনৈক্যের সুপারিশ
ঐকমত্যের অনৈক্যের সুপারিশ

প্রথম পৃষ্ঠা

বোরকা নিয়ে শিক্ষকের মন্তব্যে উত্তাল রাবি
বোরকা নিয়ে শিক্ষকের মন্তব্যে উত্তাল রাবি

নগর জীবন

সংশোধিত শ্রম আইনে শিল্পে অস্থিরতা বাড়বে
সংশোধিত শ্রম আইনে শিল্পে অস্থিরতা বাড়বে

প্রথম পৃষ্ঠা

সালমান শাহর ১২ নায়িকা
সালমান শাহর ১২ নায়িকা

শোবিজ

‘তেজাব’ ছবির নায়ক আমিই ছিলাম : আদিত্য পাঞ্চোলি
‘তেজাব’ ছবির নায়ক আমিই ছিলাম : আদিত্য পাঞ্চোলি

শোবিজ

চাকরি পেলেন গণপিটুনিতে নিহত প্রদীপ লালের ছেলে
চাকরি পেলেন গণপিটুনিতে নিহত প্রদীপ লালের ছেলে

নগর জীবন

এককভাবে সরকার গঠন করলে বেশি দিন টিকবে না
এককভাবে সরকার গঠন করলে বেশি দিন টিকবে না

নগর জীবন

ড্যাবের ২৭৬ সদস্যের কমিটি অনুমোদন
ড্যাবের ২৭৬ সদস্যের কমিটি অনুমোদন

নগর জীবন

স্প্যাম নিয়ন্ত্রণে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার
স্প্যাম নিয়ন্ত্রণে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

টেকনোলজি

স্কুলে ভর্তিতে লটারি বাতিলের দাবি
স্কুলে ভর্তিতে লটারি বাতিলের দাবি

দেশগ্রাম

নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে অস্ত্র উদ্ধার তত বাড়বে
নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে অস্ত্র উদ্ধার তত বাড়বে

নগর জীবন

শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ১৯ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে ১৯ বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

মাঠে ময়দানে