নিউজিল্যান্ডের কাছে পাত্তাই পেলেন না টাইগাররা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় ৮৬ রানের লজ্জার হার। মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গতকাল প্রথমে ব্যাট করে ২৫৪ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। ২৫৫ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৬৮ রানেই। সর্বোচ্চ ৪৯ রান আসে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে। এ ছাড়া ৪৪ রান করেন তামিম ইকবাল। নিউজিল্যান্ডের লেগ স্পিনার ৩৯ রানে নেন ৬ উইকেট।
কালকের ম্যাচে ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং- তিন বিভাগেই ব্যর্থ বাংলাদেশ। বোলিংয়ে যেমন ছিল না কোনো ধার। ফিল্ডিংয়ে মিস হয়েছে সহজ ক্যাচ। আর ব্যাটিং ছিল যাচ্ছেতাই। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের এমন হযবরল অবস্থা যেন বাড়িয়ে দিল দুশ্চিন্তা।
যদিও এটি বাংলাদেশের সেরা একাদশ ছিল না। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান নেই। দলের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিক ছিলেন না। সেরা দুই পেসার তাসকিন ও শরিফুল নেই। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডও তাদের সেরা একাদশ পাঠায়নি। কিউইদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডের মাত্র পাঁচ ক্রিকেটার রয়েছেন এই দলে। আর সেই দলের বিরুদ্ধেই এমন হতাশাজনক পারফরম্যান্স যেন টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবাচ্ছে।
তবে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে এই ম্যাচে দলের ফলের চেয়েও বড় বিষয় ছিল ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স। এই ম্যাচ দেখেই বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণা করবে বিসিবি। যদিও দলের ১৫ সদস্যের ১২ জন চূড়ান্ত হয়েই আছে। শেষ তিন পজিশনের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা। আর এই পরীক্ষায় যেন উতরে গেলেন শেখ মেহেদী হাসান ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। মেহেদী অলরাউন্ড পারফর্ম করেছেন। বল হাতে ৪৫ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট, আর ব্যাট হাতে করেছেন ১৭ রান। আর মাহমুদুল্লাহ খেলেছেন ৭৬ বলে ৪৯ রানের ইনিংস। যদিও তার এই ইনিংস দলের প্রয়োজনে কোনো কাজেই আসেনি। তবে দল হারলেও রিয়াদের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে জায়গা পাওয়াটা যেন নিশ্চিত হয়ে গেল।