টানা তিন দিন পর স্বস্তি ফিরে এসেছে পাহাড়ে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকলেও জনজীবন স্বাভাবিক হচ্ছে। হাট-বাজার গোছাতে ব্যস্ত পাহাড়ি ও বাঙালি ব্যবসায়ীরা। গতকাল বেলা ১১টায় প্রত্যাহার করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। তবে মাঠ ছাড়েনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় আপাতত টহলে থাকবে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
অন্যদিকে রাঙামাটিতে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ও বাজার পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান, পুলিশ সুপার ড. এস এম ফরহাদ হোসেন ও সদর সেনা জোনের কমান্ডার লে. কর্নেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী। এ সময় জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, আমরা চাই রাঙামাটির সব জনগোষ্ঠী শান্তি সম্প্রীতি বজায় রেখে চলুক। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রক্ষায় সব জাতিগোষ্ঠীর মানুষকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। রাঙামাটি সদর সেনা জোনের কমান্ডার লে. কর্নেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, রাঙামাটি একটি সম্প্রীতির শহর। এখানে কোনোভাবে সম্প্রীতি বিনষ্ট করা যাবে না। জানা গেছে, খাগড়াছড়িতে জাতিগত সহিংসতার জের ধরে গত শুক্রবার ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও স্থানীয় পাহাড়িরা রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল করতে এসে বাঙালিদের দোকানপাট, গাড়ি, মসজিদ ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তান্ডব চালায়। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে পথচারীদের। এরপর তাদের ধাওয়া করে স্থানীয় বাঙালিরা। উভয় পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয় অর্ধশতাধিক মানুষ।
রাঙামাটি ডিসি অফিস চত্বরে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ : রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান। তিনি বলেন, অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পাহাড়ি ও বাঙালিদের মতামতের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেউ সভা-সমাবেশ করতে চাইলে রাঙামাটি জিমনেশিয়াম চত্বর আর রাঙামাটি পৌরসভা চত্বরে করতে পারবে।
গতকাল বিকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শুরু হওয়া শান্তি সম্প্রীতির সভায় এ সিদ্ধান্তের কথা জানায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মোশারফ হোসেন খান।