নভেম্বরে দেশে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি আবারও নাগালের বাইরে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে অর্থাৎ নভেম্বর মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। গত মাসে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশে।
অক্টোবর মাসে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। গতকাল বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতি নিয়ে চলতি বছরের নভেম্বর মাসের ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশে দাঁড়ায়, যা অক্টোবরে ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে খাদ্য এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। নভেম্বর মাসে দেশের গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, অক্টোবর মাসে যা ছিল ১১ দশমিক ২৬ ভাগ। গত বছরের একই সময়ে অর্থাৎ নভেম্বর মাসে দেশের গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। নভেম্বর মাসে গ্রামাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৪১ এবং ৯ দশমিক ৭২ শতাংশে। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৭৫ এবং ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ। আর গত বছরের নভেম্বর মাসে ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৮৬ এবং ৮ শতাংশ। নভেম্বর মাসে শহরাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশে; অক্টোবর মাসে যা ছিল ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। নভেম্বর মাসে শহরাঞ্চলের খাদ্য এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি দাঁড়ায় যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৬৩ এবং ৯ দশমিক ৩১ শতাংশে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৫৩ এবং ৯ দশমিক ০৬ শতাংশ। আর ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৫৮ এবং ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।