টেস্ট ক্রিকেটে নতুন বাংলাদেশকে দেখা যাবে। ক্রিকেটাররা নতুন মানসিকতায় খেলবেন। সিলেটের সবুজ ঘাসের উইকেটে টেস্ট শুরুর আগের দিন মিডিয়াকে এমনটাই জানিয়েছিলেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। টেস্টের প্রথম দিনের পারফরম্যান্সে অধিনায়কের কথার সঙ্গে কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। পুরোনো চেহারাতেই দেখা গেছে নাজমুল বাহিনীকে। জিম্বাবুয়ের আঁটসাঁট বোলিংয়ে ১৯১ রানে গুটিয়ে গেছে টাইগাররা। উপরন্তু প্রথম দিনেই টেস্টের সুতো নিজেদের হাতে বেঁধে নেওয়ার পথে হাঁটছে জিম্বাবুয়ে। সফরকারী দলটি বিনা উইকেটে ৬৭ রান তুলে দিন পার করেছে। ১২৪ রানে পিছিয়ে থেকে আজ দ্বিতীয় দিন শুরু করবে জিম্বাবুয়ে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সিলেটের অভিষেক টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৩ ও ১৬৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল টাইগাররা।
নাজমুল জানিয়েছিলেন, ভিন্ন চেহারার দল দেখা যাবে। টাইগার হেড কোচ ফিল সিমন্স চেয়েছেন স্পোর্টিং উইকেট। টিম ম্যানেজমেন্টের ইচ্ছাতেই সিলেটের উইকেট বানানো হয় হার্ড ও বাউন্সি। তারপরও নাজমুল বাহিনীর ইনিংস গুটিয়ে দিয়েছে সফরকারী দুই স্পিনার ওয়েসলি মাধেভেরে ও ওয়েলিংটন মাসাকাদজা। তবে টাইগার ব্যাটারদের গতিতে নাভিশ্বাস তুলেছেন ব্লেসিং মুঝারাবানি। বিশেষ করে বাঁ হাতি স্পিনার মাধেভেরের ঘূর্ণিতে ৬১তম ওভারের ৫ বলের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় টাইগাররা। নাজমুল বাহিনী শেষ ৫ উইকেট হারায় ৫৪ রানের মধ্যে। অথচ টস করে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন নাজমুলরা। দুই ওপেনার মাহামুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম ৩১ রানের মধ্যে ফিরে যান সাজঘরে। দুই ওপেনারের বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৬৬ রান যোগ করেন সাবেক অধিনায়ক মুমিনুল হক ও বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল। টাইগার অধিনায়ক ব্যক্তিগত ৪০ রানে আউট হন। মুমিনুল খেলেন ৫৬ রানের ইনিংস। সাবেক অধিনায়কের এটা ৭০ টেস্টে ২২তম হাফ সেঞ্চুরি। ১০৫ বলে ৮ চার ও এক ছক্কার ইনিংসটি মুমিনুল খেলেন গত নভেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টনে জোড়া শূন্যের পর। দুজন ছাড়া টাইগারদের ইনিংস টেনে নিয়ে যান ‘লোকাল বয়’ জাকের আলি ২৮ রান ও হাসান মাহমুদ ১৯ রানের ইনিংস খেলে।