শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, শিক্ষক সংকট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংকট, অযাচিত মিছিল, মিটিং, অনশন ধর্মঘট, সমাবেশ, আন্দোলন বন্ধের রাস্তা খুঁজছে সরকার। তবে কওমি মাদরাসাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার কোনো চিন্তা-ভাবনা নেই।
গতকাল সচিবালয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ কমিটির সভা শেষে তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন। শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি প্রকাশিত প্রতিবেদনে শিক্ষা খাতের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা শীর্ষক সভায় সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের। কমিটির চেয়ারম্যান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সদস্য ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, দুর্নীতি কমাতে না পারলে আমাদের শিক্ষা খাতে গুণগত মান উন্নয়ন সম্ভব হবে না। এ জন্য শিক্ষা খাতের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন করাটা হওয়া উচিত খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এর মধ্যে আমাদের শিক্ষা খাতের বৈষম্য কমাতে হবে। শ্রমের বাজারের সঙ্গে শিক্ষা খাতের অসামঞ্জস্যতা কমিয়ে আনতে হবে। শিক্ষা খাতে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এ ছাড়া কারিগরি শিক্ষা, মাদরাসা শিক্ষা ও প্রবাসীদের জন্য যুগ উপযোগী কর্মমুখী শিক্ষার প্রসার বাড়াতে হবে। এদিকে সভার একটি সূত্র জানায়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি শিক্ষাসহ পুরো শিক্ষা খাতকে একটি সমন্বিত ব্যবস্থার মধ্যে কীভাবে নেওয়া যায় সে সুপাারিশও করা হয়। একই সঙ্গে ধনী, দরিদ্র শ্রেণির মধ্যে বিদ্যমান শিক্ষা বৈষম্য দূর করার কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করে কমিটির এ চেয়ারম্যান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। সভায় অভিমত প্রকাশ করা হয় যে, প্রাতিষ্ঠানিক দুুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দেশের শিক্ষা খাত প্রায় ডুবন্ত। এ ছাড়া যে কোনো ইস্যুকে কেন্দ্র করে হুটহাট আন্দোলন, মিছিল, মিটিং, সমাবেশ, ধর্মঘট, অনশন করে প্রতিষ্ঠান ও পুরো শিক্ষা খাততে অচল করে দিচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীরা অপূরণীয় ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এসব অযাচিত কর্মসূচি বন্ধের সুপারিশ করা হয়। সরকারের পক্ষ থেকেও সম্ভাব্য সমাধান খোঁজার আশ্বাস দেওয়া হয়।