দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান আবদুল মোমেন বলেছেন, দুর্নীতিবাজ অনেকে রাজনীতিবিদদের দ্বারা লালিত হয়। বিগত সরকারের পতনের অন্যতম কারণ ছিল দুর্নীতি। এজন্য সচেতন থাকতে হবে। গতকাল সকালে চুয়াডাঙ্গার ডিসি সাহিত্যমঞ্চে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে মনোনয়ন বাণিজ্যসহ অবৈধ টাকার লেনদেন বেড়ে যায়। এজন্য এখনই সতর্ক থাকতে হবে। সঠিক লোকটিকে নির্বাচিত করতে হবে। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার পরিবারের সদস্য এবং সাবেক এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, যার অনুসন্ধান ও তদন্ত চলছে। এ বিষয়ে আমরা সফল হব।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতির মামলায় অনেক আসামি দেশীয় সীমান্তের মধ্যে নেই। তারা কীভাবে কোন উপায়ে সীমান্ত পাড়ি দিয়েছে তা সবাই জানে। এমনো তো হতে পারে যে তারা এই চুয়াডাঙ্গা সীমান্তই পাড়ি দিয়েছে। ফলে কে কোন দেশে অবস্থান নিয়েছে তা আমাদেরও অজানা নয়।
গণশুনানিতে চুয়াডাঙ্গার ২৬টি দপ্তরের বিরুদ্ধে আনা ৯৫টি অভিযোগ শুনানি হয়। এর মধ্যে ৩৩টি অভিযোগ তাৎক্ষণিক শুনানিতে নিষ্পত্তি হয়। ৭টি খারিজ হয় এবং বাকি অভিযোগ সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়।
গণশুনানিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন দুদকের কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন, খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক জালাল আহমেদ ও চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জামাল আল নাসের।