চেরি : চেরি স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এটি ব্যথা সারাতে সবচেয়ে উপকারী ওষুধ হিসেবে কাজ করে। জ্বালাপোড়া থেকে সৃষ্টি ব্যথা ডার্ক চেরি খেলে দূর হয়। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ও জ্বালাপোড়ার প্রদাহ থেকে সৃষ্ট ব্যথা ২০টি চেরি ফল খেলেই অনেকটা কমে যাবে।
আদা : আদা ব্যথা উপশম করতে কার্যকরী। আদা পেট ব্যথা ও বমি বমি ভাব দূর করে। আবার বাতের ব্যথায় আদা কেটে মধু মিশিয়ে রোগীকে খেতে দিলেও উপকার পাওয়া যায়। আদা ও তিলের তেল গরম করে ওই তেল মালিশ করলেও উপকার পাওয়া যায়।
পেঁপে : পেঁপেতে এক ধরনের এনজাইম রয়েছে যেটা প্রদাহ দূরীকরণে সাহায্য করে। সার্জারির ব্যথা কমাতেও পেঁপে জুস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন শরীরের অন্য ব্যথা কমাতেও কাজ করে।
লাল মরিচ : লাল মরিচে ‘ক্যাপসাইসিন’ নামক একটি পদার্থ রয়েছে যেটি ব্যথা দূর করতে খুবই কার্যকর।
দই : দইয়ে মাইক্রো-ফ্লোরা নামের উপাদান আছে, যা প্রদাহ এবং বদহজমের কারণে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
তিলবীজ : তিলবীজও ব্যথা সারাতে ভালো কাজ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে, যা মাথা ও পেশির ব্যথা অনায়াসে দূর করতে সাহায্য করে।
হলুদ : হলুদে কারকুমিন নামক এক প্রকার প্রাকৃতিক উপাদান রয়েছে। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এটি প্রাকৃতিকভাবে প্রদাহ কমায়। আক্রান্ত স্থানে লাগানোর পর খুব দ্রুত এটা ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
অ্যালোভেরা জুস : অ্যালোভেরা জেল পোড়ার ব্যথা উপশমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর এর জুসও আলসারের ব্যথা উপশমে কার্যকরী। দিনে দুবার অ্যালোভেরা পানে শুধু এর উপসর্গই উপশম করে না; নিরাময়ের কাজও দ্রুত শেষ করে।
স্বাদু পানির মাছ : ব্যথা দূরীকরণে এ মাছগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ ধরনের মাছের মধ্যে হেরিং, ম্যাকরল, টুনা, স্যালমন এবং সার্ডিন অন্যতম। এ মাছ ঘাড়ের ব্যথা উপশম ও পেশির জয়েন্টকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এসব মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে; যা হার্ট ফাংশনের উন্নতি করে।
পুদিনা পাতা : পুদিনা পাতায় মেনথল নামে একটি উপাদান ধনুষ্টংকার রোগ প্রতিরোধ করে। এ ছাড়া এর তেল পায়ের গোড়ালিতে মালিশ করলে ব্যথা উপশম হয়। এমনকি মাথাব্যথায় এ পাতা কপালে ঘষলেও ব্যথা কমবে।
লেখা : ফ্রাইডে ডেস্ক
