৬ মার্চ, ২০২৩ ১০:৫৩

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও উন্নততর সংস্থান নিশ্চিতের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও উন্নততর সংস্থান নিশ্চিতের লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

ভূগর্ভস্থ পানির উন্নততর ব্যবহার নিশ্চিতের লক্ষ্যে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ প্রযুক্তি (রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং টেকনোলজি) কেন্দ্রীক একটি প্রকল্প পরিচালনার লক্ষ্যে সম্প্রতি ওয়াটারএইড এবং পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রের (সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অফ দ্য প্যারালাইজড-সিআরপি) মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

‘প্রমোটিং ওয়াটার রিপ্লেনিশমেন্ট অ্যান্ড ওয়াশ সার্ভিসেস’ শিরোনামের এই প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য হলো-ভূগর্ভস্থ পানির টেকসই ব্যবহার বিধান নিশ্চিতকরণসহ জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বৃষ্টির পানি সংগ্রহ প্রযুক্তি প্রতিস্থাপন করা, প্রতিস্থাপন পরবর্তীকালে প্রত্যাশিত সুবিধাগুলো অব্যাহত রাখার জন্য ফলপ্রসূ কার্যপ্রক্রিয়া এবং রক্ষণাবেক্ষণ অবকাঠামো নির্মাণ করা। পাঁচ বছর মেয়াদী এই উদ্যোগ ০৫ মার্চ, ২০২৩ তারিখ থেকে ০৪ মার্চ, ২০২৮ তারিখ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।

নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতায় স্বাক্ষর করেন হাসিন জাহান, কান্ট্রি ডিরেক্টর, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ; এবং ড. মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন, নির্বাহী পরিচালক, সিআরপি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মধ্যে ছিলেন-ভ্যালেরি টেইলর, প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়কারী, সিআরপি; মো. খায়রুল ইসলাম, আঞ্চলিক পরিচালক, দক্ষিণ এশিয়া, ওয়াটারএইড; শাহ মো. আতাউর রহমান, চিফ অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিআরপি; এবং পার্থ হেফাজ শেখ, পরিচালক- পলিসি অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি, ওয়াটারএইড।

বাংলাদেশে ভূগর্ভস্থ পানির পরিস্থিতি সংক্রান্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে শুষ্ক মৌসুমে শতকরা ২৬ ভাগ পানি সরবরাহের ঘাটতি দেখা দেবে, অন্যদিকে পানির চাহিদা বৃদ্ধি পাবে ২৫০ গুণ। এই ঝুঁকির বিপরীতে, দেশে প্রতি বছর ১২৭ লাখ লিটার পর্যন্ত বৃষ্টির পানি সংগ্রহের সম্ভাবনা রয়েছে, যার মধ্যে প্রতি বছর ৯৩ লাখ লিটার পানি পুনরায় ভূগর্ভে ফেরত যাবে এবং ৩৪ লাখ লিটার পানি পান করা ছাড়া অন্যান্য কাজে নিরাপদে ব্যবহার করা যাবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর