শিরোনাম
প্রকাশ: ১১:১৮, শনিবার, ২২ জুলাই, ২০২৩

বেড়েই চলছে চিকিৎসার খরচ, কমানো জরুরি

ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ
অনলাইন ভার্সন
বেড়েই চলছে চিকিৎসার খরচ, কমানো জরুরি

জীবনধারণের ব্যয় বেড়েই চলেছে। অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের খরচ বাড়ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে, আর সেই সঙ্গে হু হু করে বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়। সাধারণ জ্বর-ঠান্ডা থেকে শুরু করে জটিল অসুখ, অপারেশন আর জীবন বাঁচানোর জরুরি চিকিৎসা, ডাক্তারের ফি, প্যাথলজির পরীক্ষা, ওষুধপত্রের দাম, সবকিছুর খরচ ঊর্ধ্বমুখী। চিকিৎসা প্রতিটি নাগরিকের মৌলিক অধিকার, তা আছে শুধু কাগজপত্রেই, বাস্তবে পরিণত হয়েছে অলীক স্বপ্নে। পয়সা আছে যার, তার জন্য পথ্য অপ্রতুল নয়! ‘টাকা আছে যার, চিকিৎসা তার’ এমন একটি কথা এখন প্রচলিত। বিত্তশালীরা চাইলেই পছন্দের ডাক্তার, পছন্দের হাসপাতাল, এমনকি পছন্দের দেশে চলে যেতে পারেন চিকিৎসার উদ্দেশ্যে। আজকাল নাকি একে ‘মেডিকেল ট্যুরিজম’ বলে! কিন্তু পকেটে যার নেই টাকা, ভ্রমণবিলাস তার জন্য ফাঁকা। চিকিৎসা তার জন্য একটা মরীচিকা, যতই আগানো যায় ততই তা পিছিয়ে যায়, চিকিৎসাসেবা থাকে নাগালের বাইরেই। বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে স্বাস্থ্যসেবা এখন মৌলিক অধিকার নয়, বরং একটি সুযোগ, যা কেউ পাচ্ছে, কেউ পাচ্ছে না। স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শ্রেণির জনগোষ্ঠীর অসমতা এতটাই তীব্র ও প্রতিকূল যে, সমষ্টিগতভাবে তা দেশের অগ্রগতির অন্তরায়।

নিম্নবিত্ত যারা, সাধারণ অসুখেও টাকা খরচের সামর্থ্য তাদের নেই। যারা মধ্যবিত্ত তাদেরও চিকিৎসার জন্য কোনো বাড়তি বরাদ্দ নেই, তাদের ভাঙতে হয় সঞ্চয়। দেশে নেই স্বাস্থ্যবীমার ব্যবস্থা। অন্যদিকে আয়ের তুলনায় অনেকগুণ বেড়েছে চিকিৎসা ব্যয়। তাই চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের সীমিত আয়ের মানুষ। পরিবারের কেউ অসুস্থ হলে ঋণের অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে হচ্ছে তাদের। জটিল রোগের চিকিৎসা করাতে গিয়ে মধ্যবিত্তরা হচ্ছে দরিদ্র, আর দরিদ্ররা হচ্ছে নিঃস্ব। এক সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে বিভিন্ন কারণে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাওয়া মানুষের ২০ শতাংশের ক্ষেত্রে দায়ী অতিরিক্ত চিকিৎসা ব্যয়। চিকিৎসার পর রোগী সুস্থ হবে কি না, এ নিশ্চয়তা না থাকলেও, পরিবারটা যে পথে বসে যাবে এটা প্রায় নিশ্চিত।

কেন বাড়ছে চিকিৎসা ব্যয়? এর উত্তরে এক কথায় একটি কারণকে সুনির্দিষ্ট করা কঠিন। একদিকে দেশে সবকিছুরই মূল্য বাড়ছে, যার প্রভাব পড়ছে স্বাস্থ্য খাতে। পরিবহন খরচ, কাঁচামাল এবং হাসপাতাল পরিচালনার খরচ বাড়ছে, আর এসবের আঁচ পড়ছে চিকিৎসার ওপর। অন্যদিকে ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে পরিচালিত প্রাইভেট চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোতে লাগামহীন মুনাফা লাভের মনোবৃত্তি চিকিৎসাকে পরিণত করেছে পণ্যে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে শুরু হয়েছে অনৈতিক কৌশলের মহোৎসব-দালালের ব্যবহার, ‘রোগী ভাগানো’, অযথা অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা ওষুধ দেওয়া, অপারেশন করা, ভুল রিপোর্ট বা পরীক্ষা করা ছাড়াই রিপোর্ট প্রদান ইত্যাদি। ফলে যে চিকিৎসা স্বল্প খরচে সম্ভব ছিল তা হচ্ছে দুর্মূল্য। প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এত ওষুধের ভিড়ে নিজের পণ্যটি চালাতে ওষুধ কোম্পানিগুলো যে প্রায়ই চিকিৎসক এবং ফার্মাসিস্টদের উপহার, কমিশন, বিদেশ ভ্রমণে অনুদান দিয়ে থাকে, তার খরচ শেষ হিসাবে কার পকেট থেকে আসে? আসলে সাধারণ জনগণকেই এর মাশুল গুনতে হয়।

মূল্য বৃদ্ধির পেছনে চিকিৎসাসেবার অন্তর্নিহিত কিছু কারণও আছে। রোগ নির্ণয় আর নিরাময়ের নিত্যনতুন পরীক্ষা পদ্ধতি বের হচ্ছে, যার বেশির ভাগই ব্যয়বহুল। আগে রোগী দেখে যে চিকিৎসা দেওয়া হতো এখন তা না করে হরেকরকমের পরীক্ষা আর স্ক্যান করা হচ্ছে। অসংক্রামক রোগ বাড়ছে। যেমন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, স্ট্রোক, শ্বাসকষ্ট, ক্যান্সার ইত্যাদি। এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায় কিন্তু নিরাময় হয় না, ফলে খরচের খাতা চলতে থাকে। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ায় শুধু যে বেশিদিন রোগে ভুগতে হচ্ছে তাই নয়, খরচও হচ্ছে ততধিক। ক্রমশ ঊর্ধ্বগামী চিকিৎসা খরচের সিংহভাগ জনগণকেই বহন করতে হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, রাষ্ট্রের ওপর দেশের নাগরিকের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দায় থাকলেও বাস্তবে নাগরিকদের চিকিৎসায় সরকার খরচ করে মাত্র ২৬ শতাংশ। স্বাস্থ্য খাতে সরকারের না আছে যথেষ্ট অর্থবল, লোকবল বা পর্যাপ্ত অবকাঠামো। উন্নত স্বাস্থ্যসেবা যাও-বা আছে তা শুধুই বিভাগ, জেলা আর শহরকেন্দ্রিক। সরকারি হাসপাতালে মাত্র ৩৫ শতাংশ রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়। ৬৫ শতাংশ রোগীকে চিকিৎসাসেবা পেতে বেসরকারি হাসপাতাল বা প্রাইভেট ক্লিনিকের শরণাপন্ন হতে হয় অতিরিক্ত খরচ হবে জেনেও।

সরকারি হাসপাতাল নিয়ে কিছু কথা : নামমাত্র মূল্যে বা স্বল্প খরচে চিকিৎসাসেবা পাওয়া যায় সরকারি হাসপাতালে। অপারেশন, সিসিইউ, আইসিইউ, ডায়ালাইসিস ইত্যাদির ক্ষেত্রে খরচ বেশ কম। কিছু ওষুধ ও অন্যান্য সামগ্রী বিনামূল্যে দেওয়া হয়। তুলনামূলক কম মূল্যে অধিকাংশ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। সাধারণ পরীক্ষাগুলো কম খরচেই করা হয়, যেমন রক্তের সিবিসি, সুগার, প্রস্রাব, পায়খানা, এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি ইত্যাদি। বিশেষায়িত পরীক্ষাগুলোও কম মূল্যে করা হয়, যেমন করোনারি এনজিওগ্রাম, সিটিস্ক্যান, এমআরআই, ইকোকার্ডিওগ্রাম, কার্ডিয়াক ক্যাথেটার ইত্যাদি। যে কোনো অপারেশনের জন্য রোগীকে কোনো চার্জ দিতে হয় না, শুধু কিছু সরঞ্জাম এবং ওষুধপত্র বাইরে থেকে কিনতে হয়। পেয়িং বেডের রোগীদের নামমাত্র চার্জ দিতে হয়। কিন্তু মূল সমস্যা হলো- সরকারি হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেবার সুযোগ খুব সীমিত। রোগীর অনুপাতে পর্যাপ্ত বেড নেই, হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে রোগীদের পড়ে থাকতে দেখা যায়। ডাক্তার আর নার্সের সংখ্যা তুলনামূলক কম হওয়ায় সেবা পেতে রোগীদের হিমশিম খেতে হয়। বিনা চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর দুঃখজনক খবরও পাওয়া যায়। সদিচ্ছা থাকলেও এখানে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা দেওয়া প্রায়শই অসম্ভব হয়ে দেখা দেয়। এ ছাড়া মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে রয়েছে দালালদের দৌরাত্ম্য, ট্রলিবাণিজ্য, বিভিন্ন পর্যায়ে বকশিশ দিতে গিয়ে পদে পদে ভোগান্তি। মূল চিকিৎসার খরচ কম হলেও বাড়তি খরচ জোগাতে গিয়ে রোগীর পকেট থেকে বেরিয়ে যায় অনেক টাকা। দালাল ও কিছু অসাধু কর্মচারীর অর্থলুট ও সীমাহীন হয়রানি সরকারি হাসপাতালের স্বাভাবিক চিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। হাসপাতালের ওষুধ বাইরে বিক্রিসহ দুর্নীতির কারণে অনেক ওষুধ সরবরাহ থাকার কথা থাকলেও তা পাওয়া যায় না। অপারেশনের রোগীকে অপ্রয়োজনীয় বাড়তি সরঞ্জাম কিনে ফায়দা লুটে কিছু কর্মচারী। এভাবে পদে পদে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ খরচ করতে গিয়ে সরকারি ফ্রি চিকিৎসা আর ফ্রি থাকে না, বরং সাধারণ মানুষের জন্য দাঁড়ায় বোঝা হয়ে। তবুও সরকারি চিকিৎসা গরিব ও নিম্নবিত্ত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল। এখানকার দুর্নীতিগুলো বন্ধ করতে পারলে স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়ানো এবং চিকিৎসা ব্যয়ও কমানো সম্ভব।

বেসরকারি চিকিৎসা : ব্যক্তি উদ্যোগে তৈরি প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মূল লক্ষ্য থাকে মুনাফার। রাজধানীসহ দেশের বিভাগীয় ও জেলা শহর এবং শহরতলি সব জায়গাতেই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে অনেক প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিক। দেশের অর্থনীতির অবস্থা যাই হোক, চিকিৎসা খাতের ব্যবসা সব সময়ই রমরমা থাকে। কারণ মানুষ অসুস্থ হবেই এবং তাকে চিকিৎসাসেবা নিতেই হবে আর প্রাইভেট হাসপাতাল বা ক্লিনিকের চিকিৎসা এবং বিশেষায়িত সেবাগুলোর খরচ সাধারণের নাগালের বাইরে। বেড চার্জ, অ্যাডমিশন ফি, পরীক্ষা-নিরীক্ষার খরচ সরকারি হাসপাতালের চেয়ে অনেকগুণ বেশি। একই পরীক্ষা বারবার করানো, অপ্রয়োজনে বিভিন্ন দামি ওষুধ দেওয়া এবং হাসপাতালে প্রয়োজনের চেয়ে বেশিদিন রোগীকে ভর্তি রাখা হয় বলেও অভিযোগ আছে। বিশেষায়িত পরীক্ষাগুলো যেমন করোনারি এনজিওগ্রাম, সিটিস্ক্যান, এমআরআই, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম, কার্ডিয়াক ক্যাথ, এমনকি সাধারণ পরীক্ষাগুলোর ব্যয়ও সরকারি হাসপাতালের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। স্বল্প লাভে এ পরীক্ষাগুলো আরও কম টাকায় করা সম্ভব হলেও প্রাইভেট হাসপাতাল এবং নামিদামি ক্লিনিকগুলো খরচ কমাতে চায় না। এসব ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগও আছে। পরীক্ষাগুলোর সর্বনিম্ন মূল্য নির্ধারিত থাকলেও সর্বোচ্চ মূল্যের বেলায় একেক হাসপাতাল একেকরকম মূল্য রাখে। কার্যকর হচ্ছে না মূল্য তালিকা প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে রাখার বাধ্যতামূলক বিধানও। হাসপাতাল আর ডাক্তারদের অভ্যন্তরীণ কমিশনবাণিজ্য তো এখন ওপেন সিক্রেট। যদিও অধিকাংশ ডাক্তার এসব অনৈতিক কাজে জড়িত নয়, তবে কিছু অসাধুচক্র এসব ন্যক্কারজনক কাজে লিপ্ত আছে বলে শোনা যায়।

সরকারি হাসপাতালের তুলনায় প্রাইভেট হাসপাতাল এবং ক্লিনিকগুলোতে অপারেশন চার্জ রাখা হচ্ছে আকাশচুম্বী, যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণের নাগালের বাইরে। হার্নিয়া, সিজারিয়ান সেকশন, এপেন্ডিসেক্টোমি এমনকি পিত্তথলির পাথরের অপারেশনসহ অন্যান্য মাইনর অপারেশনের খরচের অঙ্কটা লাখ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এ ছাড়া সিসিইউ, আইসিইউ এবং ডায়ালাইসিসের খরচও অনেক বেশি।

আইসিইউ সেবার ক্ষেত্রে রোগীদের অবস্থা সবচেয়ে করুণ। সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ খরচ কম এবং সাধারণ মানুষের সামর্থ্যরে মধ্যে, তবে অপ্রতুল; কিন্তু প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকে আইসিইউর খরচ বহন করা অনেকের নাগালের বাইরে। সেখানে দৈনিক ৫০ হাজার টাকা বা তারও বেশি খরচ হয়। সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা সংকটের সুযোগ নিয়ে বেসরকারি আইসিইউ সেবা নিয়ে রমরমা বাণিজ্য প্রায়ই চলে বলে শোনা যায়। সরকারি হাসপাতালে সিট খালি না থাকলেই রোগী বা তার আত্মীয়-স্বজনরা নিতান্ত অপারগ হয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের আইসিইউতে ভর্তি হতে বাধ্য হয়। কয়েকদিন থাকলেই রোগী ভালো হোক বা মারা যাক যখন আইসিইউর বিল তাদের দেওয়া হয়, যার পরিমাণ লাখ টাকাও ছাড়িয়ে যায় তা দেখে তো অনেকের চক্ষু চড়ক গাছ।

বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে এটা উপলব্ধি করা জরুরি যে, চিকিৎসাসেবা পণ্য হলেও এটা বাজারের আর ১০টি পণ্যের মতো নয়, বরং মানুষের মৌলিক অধিকার। তাই ব্যবসায়ী মনোবৃত্তির সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক দায়বদ্ধতাও এখানে প্রয়োজন। কী ধরনের সেবায় কতটুকু লাভ রাখা যাবে তার একটি নীতিমালা কার্যকর করতে হবে। বিশেষ করে জীবন রক্ষাকারী অপরিহার্য সেবাগুলোর যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা উচিত। হাসপাতাল বা ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করার অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে দরিদ্র জনগণের জন্য বিশেষ ব্যবস্থার শর্ত থাকতে হবে। এসব হাসপাতালের কর্মকাণ্ড আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের মানদণ্ড অনুযায়ী চলছে, নাকি ব্যবসায়িক লাভের প্রণোদনায় চলছে তা নিয়মিত পর্যালোচনা করতে হবে।

সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও স্বাস্থ্য খাতে বেশকিছু সাফল্য রয়েছে। আজ দেশে অনেক জটিল রোগের চিকিৎসা হচ্ছে। হার্ট, লিভার, কিডনিসহ অন্যান্য সার্জারিতে অনেক দূর এগিয়ে গেছে দেশ। অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজনের মতো কঠিন অপারেশনও সম্ভব হচ্ছে এ দেশে। তবে এ ধরনের চিকিৎসায় যে বিপুল অর্থব্যয় হয় তা দেশের খুব কম মানুষের পক্ষে জোগান দেওয়া সম্ভব। এ ব্যয়ভার কমিয়ে সাধারণ মানুষ যাতে চিকিৎসা পেতে পারে সেদিকে নজর দিতে হবে।

তবে শেষ বিচারে সরকারি হাসপাতালই দরিদ্র মানুষের আশা ভরসার মূল আশ্রয়। তাই এখানে বরাদ্দ বাড়ানোসহ দরকার লোকবল আর অবকাঠামো খাতে উন্নয়ন। বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ড দ্বারা স্বল্প মূল্যের সরকারি চিকিৎসাব্যবস্থাকে যারা অন্যায়ভাবে ব্যয়বহুল করে তুলছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। দালালের দৌরাত্ম্য, অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা, অপ্রয়োজনীয় ওষুধ প্রদান, ওষুধ ও সরঞ্জাম চুরি করা, ট্রলি ও কমিশনবাণিজ্য ইত্যাদি কঠোর হস্তে দমন করা দরকার। চিকিৎসাসেবার আধুনিক যেসব উপকরণ অপরিহার্য কিন্তু ব্যয়বহুল, যেমন জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, জরুরি ও আইসিইউ সেবা, কার্ডিয়াক ক্যাথ, সার্জারি, ট্রান্সপ্লান্ট, জরুরি প্রসূতিসেবা ইত্যাদিকে আরও ভর্তুকি দিয়ে দরিদ্রের জন্য সুলভ করা প্রয়োজন। আসলে সুলভে মানসম্মত চিকিৎসাসেবা এবং সহনীয় চিকিৎসা ব্যয়ের বিষয়টি অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং সেবাদানকারীদের মনমানসিকতার ওপর নির্ভর করে। নিত্যনতুন টেকনোলজি আর অবকাঠামোর আশায় বসে না থেকে যে উপকরণ আছে, তার সর্বোচ্চ আর সুষ্ঠু ব্যবহার চিকিৎসার ব্যয় কমিয়ে আনতে পারে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল না হয়ে ক্লিনিক্যাল জাজমেন্টকে প্রাধান্য দিলে খরচ প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমানো যেতে পারে। হাসপাতালকে রোগীবান্ধব করে তুললে অনাকাক্সিক্ষত অনেক ব্যয় হ্রাস করা সম্ভব।

চিকিৎসাসেবা পাওয়া জনগণের একটি মৌলিক অধিকার। তাই পথ-ঘাটের ছিন্নমূল মানুষ থেকে শুরু করে শত কোটি টাকার মালিক- সবার জন্যই যথাযথ চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। যাদের আয় সীমিত, নিম্ন মধ্যবিত্ত বা যারা দিন এনে দিন খায়, তাদের একজনও যেন বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে এ সুন্দর পৃথিবী থেকে বিদায় না নেয়, তা নিশ্চিত করার দায় আমাদেরই। এ বিষয়টা উপলব্ধি করে তা নিশ্চিত করা খুবই জরুরি। শুধু সরকার অথবা ডাক্তার নয়, প্রাইভেট হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের মালিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি, ফার্মেসি, চিকিৎসা সহকারী, নার্স, থেরাপিস্ট, সবার সমন্বিত চেষ্টার মাধ্যমেই চিকিৎসাসেবাকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া সম্ভব।

চিকিৎসাসেবাকে এখনো ঐশ্বরিক দায়িত্ব হিসেবে ভাবা হয়। চিকিৎসা পেশা ও মানবিকতা পরস্পর সম্পূরক। সমাজের প্রত্যেকেই ডাক্তার নয় কিন্তু রোগী আমি আপনি প্রত্যেকেই। কাজেই চিকিৎসা ব্যয়কে একটি সহনীয় পর্যায়ে রাখার মাধ্যমে বিশাল জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব।

লেখক : প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক

 

বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

এই বিভাগের আরও খবর
রেনাটার পৃষ্ঠপোষকতায় ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের মহৎ উদ্যোগ
রেনাটার পৃষ্ঠপোষকতায় ক্যান্সার অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের মহৎ উদ্যোগ
শ্বাসকষ্ট : সমস্যা ফুসফুসের নাকি হৃৎপিণ্ডের?
শ্বাসকষ্ট : সমস্যা ফুসফুসের নাকি হৃৎপিণ্ডের?
গতি বদলিয়ে ১৪ মিনিট হাঁটুন, মিলবে যে উপকারিতা
গতি বদলিয়ে ১৪ মিনিট হাঁটুন, মিলবে যে উপকারিতা
হেমাচুরিয়া বা প্রস্রাবে রক্ত: সতর্ক হওয়ার সংকেত
হেমাচুরিয়া বা প্রস্রাবে রক্ত: সতর্ক হওয়ার সংকেত
দাঁতের আধুনিক চিকিৎসায় ‘ক্লিয়ার এলাইনার’
দাঁতের আধুনিক চিকিৎসায় ‘ক্লিয়ার এলাইনার’
আশুলিয়ায় নারী ও শিশু হাসপাতালে এভারকেয়ার হসপিটালের মেডিকেল ক্যাম্প
আশুলিয়ায় নারী ও শিশু হাসপাতালে এভারকেয়ার হসপিটালের মেডিকেল ক্যাম্প
হৃৎপিন্ডের যত্ন নিয়ে কিছু কথা
হৃৎপিন্ডের যত্ন নিয়ে কিছু কথা
যত্নে থাকুক ডায়াবেটিক ফুট
যত্নে থাকুক ডায়াবেটিক ফুট
ডায়াবেটিস ও দাঁতের সম্পর্ক
ডায়াবেটিস ও দাঁতের সম্পর্ক
শিশুর প্রস্রাবে ইনফেকশন
শিশুর প্রস্রাবে ইনফেকশন
নরমাল ডেলিভারির জন্য কেমন প্রস্তুতি নেওয়া উচিত
নরমাল ডেলিভারির জন্য কেমন প্রস্তুতি নেওয়া উচিত
অস্টিওম্যালেসিয়ার লক্ষণ
অস্টিওম্যালেসিয়ার লক্ষণ
সর্বশেষ খবর
দিল্লি হাটে ভয়াবহ আগুন
দিল্লি হাটে ভয়াবহ আগুন

২৫ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত
এবার পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত

৩৭ মিনিট আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়

৫১ মিনিট আগে | জাতীয়

'উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে'
'উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে'

১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেড়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
পুলিশের বিশ্বাসযোগ্যতা অনেক বেড়েছে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিসিএস হেলথ ফোরামের অবস্থান কর্মসূচি
পদোন্নতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বিসিএস হেলথ ফোরামের অবস্থান কর্মসূচি

৩ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি
চট্টগ্রামে শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সাইকেল র‍্যালি

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্টে বৃদ্ধের মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ
জনতার হাতে আটক যুবলীগ নেতাকে পুলিশে সোপর্দ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
পিকআপ-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস
শ্রমিকের অধিকার প্রতিষ্ঠাই হবে মে দিবসের অঙ্গীকার : শিমুল বিশ্বাস

৪ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন
ডুয়েটে আন্তঃহল ভলিবল প্রতিযোগিতা-২০২৫ এর উদ্বোধন

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি
লিবিয়া থেকে কাল দেশে ফিরছেন ১৭৭ বাংলাদেশি

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা
কলাপাড়ায় অবহিতকরণ সভা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ ত্বরান্বিত করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি
১১ মাস পর হিলিতে ভারত থেকে কচুরমুখি আমদানি

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা
বসিলা ও বেড়িবাঁধ সড়কের যানজট নিরসনে ডিএমপির নতুন নির্দেশনা

৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত
কলাপাড়ায় সন্ত্রাসী হামলায় শিক্ষার্থী আহত

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ
মাদ্রাসাছাত্রকে হত্যার অভিযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় একদিনে নিহত ৩৫

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বদলি নিয়ে যা জানা গেল

৪ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির 
দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ
সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিন ইসলাম তুহিনের মুক্তির  দাবিতে নীলফামারীতে আইনজীবীদের বিক্ষোভ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য
ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে ‘তাণ্ডব’র শুটিং দৃশ্য

৪ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'
'সংস্কার যেটুকু প্রয়োজন দ্রুত সেরে নির্বাচন দিন'

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক
ঝিনাইদহে মাদক কারবারি আটক

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা
বরিশালে দিনব্যাপী কর্মশালা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা
খাগড়াছড়িতে জেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভা

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
মুন্সিগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলা, ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
ইটনায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

৪ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে
অনলাইনে দ্বৈত নাগরিকত্বের আবেদন শুরু ১৫ মে

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?
‘মুক্তিযোদ্ধা’র সনদ বাতিলের তালিকায় আলোচিত নামগুলো কারা?

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

১৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা
সুবর্ণা, শাওনসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা

২২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

১৩ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

১০ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

১২ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান

১১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

৭ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ
প্রাইজবন্ডের ১১৯তম ‘ড্র’ আজ

১৭ ঘণ্টা আগে | বাণিজ্য

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প
পুতিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা; স্থায়ী চুক্তি চান ট্রাম্প

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

১৪ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন, স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি রবিবার
হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন, স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি রবিবার

৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?
আইফোন ১৭-কে টপকে যাবে অ্যান্ড্রয়েড?

১৯ ঘণ্টা আগে | টেক ওয়ার্ল্ড

অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে
অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে

১০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রিন্ট সর্বাধিক
সারজিসের সামনে দফায় দফায় মারামারি
সারজিসের সামনে দফায় দফায় মারামারি

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

ইশরাক দায়িত্ব নিচ্ছেন কবে
ইশরাক দায়িত্ব নিচ্ছেন কবে

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রমিকের স্বার্থে পাশে থাকুন ব্যবসায়ীদের
শ্রমিকের স্বার্থে পাশে থাকুন ব্যবসায়ীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই
এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই

সম্পাদকীয়

মহান মে দিবস আজ
মহান মে দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

রেললাইনে লাশ রহস্য
রেললাইনে লাশ রহস্য

পেছনের পৃষ্ঠা

শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি
শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে টর্নেডো
কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে টর্নেডো

পেছনের পৃষ্ঠা

বসুন্ধরায় প্রবেশে আরও একটি সংযোগ সড়ক
বসুন্ধরায় প্রবেশে আরও একটি সংযোগ সড়ক

নগর জীবন

পাকিস্তানে যে কোনো সময় হামলা
পাকিস্তানে যে কোনো সময় হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসলামি দলগুলো এক মঞ্চে, নারী সংস্কার কমিশন প্রত্যাখ্যান
ইসলামি দলগুলো এক মঞ্চে, নারী সংস্কার কমিশন প্রত্যাখ্যান

প্রথম পৃষ্ঠা

বন্ধ চিড়িয়াখানা হবে আধুনিক পার্ক
বন্ধ চিড়িয়াখানা হবে আধুনিক পার্ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

নির্বাচনি জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি
নির্বাচনি জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

নায়ক-নায়িকাদের কার বিদ্যা কতদূর
নায়ক-নায়িকাদের কার বিদ্যা কতদূর

শোবিজ

সেই বক্তব্য শেখ হাসিনারই
সেই বক্তব্য শেখ হাসিনারই

পেছনের পৃষ্ঠা

জেল থেকে ইমরানের বার্তা
জেল থেকে ইমরানের বার্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশ
আজ বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

যুদ্ধপ্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী
যুদ্ধপ্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুলছে ২২ হাজার মামলা
ঝুলছে ২২ হাজার মামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

উজ্জ্বলের আশাবাদ...
উজ্জ্বলের আশাবাদ...

শোবিজ

সংশোধন
সংশোধন

খবর

ববির ঘোষণা আসছে
ববির ঘোষণা আসছে

শোবিজ

মাহির একাকিত্ব
মাহির একাকিত্ব

শোবিজ

সেঞ্চুরি করে সাকিবের পাশে মিরাজ
সেঞ্চুরি করে সাকিবের পাশে মিরাজ

মাঠে ময়দানে

বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে

মাঠে ময়দানে

জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না
জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না

প্রথম পৃষ্ঠা

ছুটি
ছুটি

প্রথম পৃষ্ঠা

সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে
সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে

নগর জীবন

শিয়াল মারার ফাঁদে বৃদ্ধের মৃত্যু
শিয়াল মারার ফাঁদে বৃদ্ধের মৃত্যু

দেশগ্রাম