শনিবার, ১৭ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
প্রেসক্রিপশন

কোলন পলিপের নানা জটিলতা

কোলন বা বৃহদন্ত্র যা  পরিপাকতন্ত্রের শেষের অংশ, সেখানে নানারকম রোগ হতে পারে যেমন- ডিসেন্ট্রি, আলসারেটিভ, কোলাইটিস, ক্রনস ডিজিজ, টিবি, কোলন পলিপ, ক্যান্সার ইত্যাদি। এর মধ্যে সাধারণ একটি হচ্ছে কোলন পলিপ। পলিপ কী? পলিপ হচ্ছে- আঙ্গুলের মাথার মতো একটি অস্বাভাবিক অংশ যা কোলনের দেয়াল থেকে বেরিয়ে আসে। সাধারণত ৩০ বছরের পর বৃহদন্ত্রে এ পলিপ দেখা দেয়, অবশ্য ছোটবেলায়ও কিছু কিছু পলিপ দেখা দিতে পারে। প্রশ্ন হচ্ছে এ পলিপ কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? কোলন পলিপ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এখান থেকেই ক্যান্সারের সূত্রপাত।

লক্ষণ : সাধারণত এ রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায় না, চুপচাপ শরীরে বেড়ে ওঠে, আর যখন লক্ষণ দেখা দেয় তখন দেখা যায় মলের সঙ্গে রক্ত, কালো কালো মল হওয়া, রক্তশূন্যতা হওয়া, কোষ্ঠ পরিষ্কার না হওয়া।

নির্ণয় : পাইলস ও পায়ুপথের অন্যান্য রোগের মতো কোলন পলিপেও রক্ত যায়, রোগীরা পাইলস বলে ভুল করেন। কোলন পলিপ নির্ণয়ের আধুনিক পরীক্ষা হচ্ছে কোলনোস্কোপি, বস্তুত একমাত্র এ পরীক্ষার মাধ্যমেই কোলন পলিপ নির্ণয় করা যায়। কোলনের কোনো স্থানে পলিপ দেখা দিলে পুরো কোলন কোলনোস্কোপির মাধ্যমে পরীক্ষা করতে হবে, দেখতে হবে আর কোনো পলিপ আছে কিনা। কোলনোস্কোপির মাধ্যমে এ পলিপ সরাসরি দেখা যায়, এর ছবি তোলা যায়, ভিডিও-ও করা যায়। ফলে রোগী সেটি দেখতে পারেন।

চিকিৎসা : কোলন পলিপ সম্পর্কে প্রধান সুখবর হচ্ছে, পলিপ এ কোলনোস্কোপির মাধ্যমেই অপসারণ করা যায়, অর্থাৎ এর জন্য বড় কোনো অপারেশনের প্রয়োজন নেই। এর জন্য রোগীকে অজ্ঞান করারও কোনো প্রয়োজন নেই। কয়েক ঘণ্টা পরেই পলিপ অপারেশনের রোগী বাসায় ফিরে যেতে পারেন।

অধ্যাপক ডা. এসএমএ এরফান, কোলোরেক্টাল সার্জন

জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হসপিটাল, ধানম-ি, ঢাকা।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর