নির্বাচনে জেতাতেই মালয়েশিয়ান প্রধানমন্ত্রী নজিব রাজাককে অর্থ দিয়েছিল সৌদি রাজপরিবার। এর আগে মঙ্গলবার মালয়েশিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ অ্যাপান্ডি আলি একই কথা বলেন। পাশাপাশি ওয়ানএমডিবি কেলেঙ্কারির শুরু থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন নজিব রাজাক। খবর বিবিসির।
খবরে বলা হয়, ২০১৩ সালে নির্বাচনে জিততেই নজিব রাজাককে ওই অর্থ দিয়েছিল সৌদি রাজপরিবার। এক সৌদি সূত্রের বরাত দিয়ে বুধবার একথা জানায় সংবাদ মাধ্যমটি।
খবরে বলা হয়, সৌদি রাজপরিবার ৬৮১ মিলিয়ন ডলার (৫ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা) অর্থ অনুদান দিয়েছিল উল্লেখ করে মোহাম্মদ অ্যাপান্ডি আলি আরও জানান, এ অর্থ ব্যবহার না হওয়ায় এর মধ্যে ৬২০ মিলিয়ন ডলার (৪ হাজার ৮৫২ কোটি টাকা) ফেরতও দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানান, দেশের দুর্নীতি দমন সংস্থার তদন্তে জানা গেছে, ২০১৩ সালের মার্চ মাস থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে অনুদানের অর্থ ট্রান্সফার করা হয়। আর একই বছর আগস্ট মাসে ৬২০ মিলিয়ন ডলার ফেরতও দেন নজিব। তবে বাকি ৮১ মিলিয়ন ডলারের (৬৩৪ কোটি টাকা) কি হয়েছে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি অ্যাটর্নি জেনারেল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই সৌদি সূত্রটি জানিয়েছেন, ঘটনার সময় মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব নিয়ে রিয়াদ উদ্বিগ্ন ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি রাজপরিবার নজিবকে অর্থ অনুদানের সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সময় মালয়েশিয়ার বিরোধী জোটে যোগ দেয় প্যান-মালয়েশিয়ান ইসলামিক পার্টি (পিএএস)। দলটির প্রতিষ্ঠাতারা ব্রাদারহুডের অনুগামী ছিলেন। তারওপর মালয়েশিয়ায় ব্রাদারহুডের যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে বলেও তথ্য পাওয়া যায়।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ জানুয়ারি, ২০১৬/মাহবুব