এবার ইউরোপের আরেক দেশ ডেনমার্কে এক ব্যক্তির শরীরে আমেরিকায় বিশেষ করে লাটিন আমেরিকায় ছড়িয়ে পড়া জিকা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। ডেনমার্কের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর আরহুসের বাসিন্দা ওই ব্যক্তির শরীরে পরীক্ষা করে ভাইরাসটি পজিটিভ ধরা পড়েছে। লাটিন ও মধ্য আমেরিকা ভ্রমণ করে দেশে ফেরার পরপরই তার শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়ে। দেশটির জাতীয় টিভি চ্যানেল ডিঅার শহরটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ তথ্য দেয়। ইতোমধ্যে ব্রিটেনে জিকা ভাইরাসে সংক্রমণের তিনটি ঘটনা নিশ্চিত করেছে দেশটির সরকার। এরপরই ডেনমার্কে ভাইরাসটি শনাক্তের খবর এলো। খবর দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের
লাটিন ও মধ্য আমেরিকায় ইতোমধ্যে হাজার হাজার লোক মশাবাহিত জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বিশেষ করে ব্রাজিলে এ ভাইরাসের সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটেছে। ভাইরাসটির বাহক এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে দেশটির ২ লাখ সেনা সদস্যকে বিশেষভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে।
এডিস মশাবাহিত এই রোগের কারণে নবজাতক শিশুদের মধ্যে জন্মগত ত্রুটি হচ্ছে বলে চিকিৎসকদের আশঙ্কা। এর মধ্যে একটি অসুখ হচ্ছে মাইক্রোসেফালি, যাতে শিশুরা অস্বাভাবিক ছোট মাথা নিয়ে জন্ম নেয়। তবে ব্রাজিলে মাইক্রোসেফালির সংখ্যা গত বছরের অক্টোবর থেকে উদ্বেগজনকহারে বেড়েছে। এর পর থেকে দেশটিতে ৪ হাজার শিশু মাইক্রোসেফালি দিয়ে জন্মগ্রহণ করেছে। অথচ দেশটিতে গড়ে প্রতি বছর প্রায় দুশ'র মতো শিশু এ রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এমনটি জিকা ভাইরাসের কারণেই হচ্ছে কি না, তা এখনো শতভাগ নিশ্চিত নয়।
২০১৪ সাল থেকে পশ্চিম আফ্রিকায় মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া ইবোলা ভাইরাসের মতো প্রাণঘাতি নয় জিকা। সেইসঙ্গে এটি সংক্রামক ব্যাধিও না। তবে জিকা আক্রান্ত গর্ভবর্তী নারী ও তাদের সদ্যজাতদের জন্মগত ত্রুটির সঙ্গে ভাইরাসটির যোগসূত্র রয়েছে বলে বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে। পশ্চিম আফ্রিকাকে ইতোমধ্যে ইবোলামুক্ত ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ জানুয়ারি ২০১৬/শরীফ