যুক্তরাষ্ট্রের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গত বছর ৪০.৩১ বিলিয়ন ডলারের অনুদান সংগ্রহ করেছে। আগের বছরের তুলনায় তা ৭.৬% বেশি। ‘কাউন্সিল ফর এইড টু এডুকেশন’ সূত্রে গতকাল বুধবার এ তথ্য জানা যায়। মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগম রাখার প্রত্যয়ে বিভিন্ন সাহায্য সংস্থার চেয়ে ধনাঢ্য আমেরিকানরাই বেশি অর্থ প্রদান করেছেন।
অর্থ সংগ্রহের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি। গত ৩১ আগস্ট সমাপ্ত তাদের অর্থ বছরে মোট ১.৬৩ বিলিয়ন ডলার সংগ্রহ হয়েছে। দ্বিতীয় শীর্ষে রয়েছে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি। তাদের অর্থ বছর সমাপ্ত হয়েছে ৩০ জুন এবং সংগ্রহ করেছে ১.০৫ বিলিয়ন ডলার। ০.৬৫ বিলিয়ন ডলার নিয়ে তৃতীয় শীর্ষে রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া। চতুর্থ শীর্ষে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া-সানফ্রান্সিসকো ০.৬১ বিলিয়ন ডলার। পঞ্চম শীর্ষে রয়েছে কর্নেল ইউনিভার্সিটি ০.৫৯ বিলিয়ন ডলার। ষষ্ঠ-জন হপকিন্স ০.৫৮ বিলিয়ন ডলার, সপ্তম-কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটি-০.৫৫ বিলিয়ন ডলার, অষ্টম প্রিন্সটন ইউনিভার্সিটি ০.৫৫ বিলিয়ন ডলার, নবম স্থানে রয়েছে ০.৫৪ বিলিয়ন নিয়ে নর্থ-ওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটি এবং শীর্ষস্থানীয় ১০ এ রয়েছে ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভেনিয়া ০.৫২ বিলিয়ন ডলার নিয়ে।
স্ট্যানফোর্ডে উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেণির পরিবারের মেধাবী সন্তানদের টিউশন ফি মওকুফ করে শিক্ষানুরাগীরা অধিক হারে অর্থ সহায়তা দিয়েছে বলে জানা গেছে।
গত বছর সবচে' বেশি তহবিল সংগ্রহে সক্ষম ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ৭.২৭ বিলিয়ন ডলার চাঁদা পেয়েছে। ২০১৪ অর্থ বছরে এর পরিমাণ ছিল ১৭.৫% কম। ‘কাউন্সিল ফর এইড টু এডুকেশন’র পরিচালক ই ক্যাপলেন এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, চিকিৎসা সেবা, দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অধিক মনোযোগ দিয়েছে, সে সবে চাঁদা প্রদানে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন খ্যাতিসম্পন্ন ফাউন্ডেশনগুলো। চাঁদা অথবা অর্থ সহায়তাকারিদের মধ্যে বিদেশিরা কতজন রয়েছেন তা অবশ্য স্পষ্ট করে জানানো হয়নি।
গত বছর ৮ ব্যক্তি/সংস্থা থেকেই মোট ১.৪৪ বিলিয়ন ডলার পাওয়া গেছে। এ অর্থ পেয়েছে সেরা ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। স্ট্যানফোর্ডকে ৮৩ হাজার ব্যক্তি চাঁদা দিয়েছেন গত বছর। কেউ কেউ একশত ডলার করেও দিয়েছেন।
স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট (উন্নয়ন) মারটিন শেল বলেন, ‘আমরা স্বল্প পরিমাণের চাঁদাদাতাদের জন্যে অনেক বেশি সময় ব্যয় করে থাকি। ‘ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিন্দু থেকেই বিশাল তহবিল গড়ে উঠতে পারে’ এ মন্ত্রে বিশ্বাসী আমরা। যতবেশী মানুষ চাঁদা দেবেন, ততবেশী জনপ্রিয় হবে আমাদের শিক্ষাঙ্গন’-এ ধারণা থেকেই আমরা প্রতি বছর তহবিল সংগ্রহে মনোনিবেশ করে থাকি’ বলেন মারটিন।
বিডি-প্রতিদিন/ ২৮ জানুয়ারি, ২০১৬/ রশিদা