যুক্তরাষ্ট্রের ২০১৬ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী বাছাই বা মনোনয়নের লক্ষ্যে অাজ ১ ফেব্রুয়ারি অাইওয়া রাজ্যে ককাস অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান উভয় দলের প্রতিনিধিরা ককাসের মাধ্যমে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বাছাই করবেন। আর এর মধ্য দিয়েই হোয়াইট হাউসে যাওয়ার লক্ষ্যে ৫৮তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের আনুষ্ঠানিক প্রতিযোগিতা শুরু হচ্ছে।
আইওয়া ককাসে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানসহ অন্যান্য দলীয় সদস্যরা তাদের প্রেসিডেন্টাল ডেলিগেটদের বাছাই করবেন। এ প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ে এসব ডেলিগেটরা ইলেক্টরাল কলেজের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন।
ককাস কী?
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রাজ্যভিত্তিক ককাস গতানুগতিক নির্বাচন থেকে ভিন্ন একটি প্রক্রিয়া। এটি হচ্ছে মূলত দলীয় সদস্যদের একটি সভা যেখানে তারা তাদের পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোটের মাধ্যমে দলীয় প্রতিনিধিদের বাছাই করেন। আর এসব প্রতিনিধিরাই নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের লক্ষ্যে ভোট দেন। ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়ে জুন পর্যন্ত চলে ককাস প্রক্রিয়া।
ককাস কীভাবে কাজ করে?
প্রতিটি দলের ককাস ভিন্ন ভিন্নভাবে তাদের ডেলিগেটদের বাছাই করে। রিপাবলিকান প্রার্থীদের ক্ষেত্রে এটা হচ্ছে সাধারণ গোপন ভোটের মতো। দলীয় সদস্যরা একটি সাদা কাগজে [ব্র্যাঙ্ক পেপার] তাদের পছন্দের প্রার্থীদের নাম লিখেন। পরে মোট ভোট গণনা করে দলীয় প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়।
আর ডেমোক্রেট দলীয় ককাস বেশ জটিল একটি প্রক্রিয়া। এটা সাধারণ কোনো গোপন ভোটের মতো নয়। বরং দলীয় ভোটারেরকে তাদের পছন্দের প্রার্থীর অন্যান্য সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে তাদের পছন্দের কথা জানাতে হয়। পরে চূড়ান্ত ভোট গণনা করে দলীয় প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়। তবে কোনো প্রার্থী যদি ডেলিগেটদের মধ্যে ১৫ শতাংশের কম ভোট পান তাহলে তাকে মনোনয়ন প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়তে হয়। এমনটি হলে দলীয় ভোটারদেরকে পুনরায় তাদের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য বলা হয়।
উল্লেখ্য, আগামী ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ৫৮তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মাধ্যমে বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্থলে নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কে হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন তা জানা যাবে। প্রতি চার বছর অন্তর অন্তর দেশটির প্রেসিন্টে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির সংবিধানের ২২তম সংশোধনীর মাধ্যমে বর্তমান প্রেসিডেন্টের তৃতীয় মেয়াদে প্রার্থী হওয়ার সুযোগ সীমাবদ্ধ করা হয়েছে। সূত্র : দ্য হিন্দু ও উইকিপিডিয়ার
বিডি-প্রতিদিন/ ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৬/শরীফ