পৃথিবীর সব থেকে বিখ্যাত জায়গা হোয়াইট হাউস। অন্যতম শক্তিশালী মানুষের বাস সেখানে। জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা। বিনা অনুমতিতে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবেরও প্রবেশানুমতি নেই। অষ্টাদশ শতক থেকে আমেরিকার প্রত্যেক প্রেসিডেন্টের নিবাসস্থল এটি। বর্তমান বাসিন্দা বারাক ওবামা। তারপর এই বাড়ির দখল নেওয়ার জন্য দক্ষযজ্ঞ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে হিলারি ক্লিন্টন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে।
শুধু রাজনীতি নয়, আমেরিকার এই প্রাণকেন্দ্র আরও একটি কারণে চর্চার বিষয়। বাইরের বাসিন্দাদের কাছে যতই এর মাহাত্ম্য থাক, যারা থাকেন তারাই শুধুমাত্র অনুভব করেছেন এই ভয়ঙ্কর সত্য। কানাঘোষা অনেক আগে থেকেই ছিল। কিন্তু ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল যখন থাকতে এলেন তখন বেশি করে বাইরে এল সেই বিস্ফোরক তথ্য।
সারাদিনের কাজ সেরে রাতে গোসল শেষে সবে মাত্র নিজের কক্ষে এসেছিলেন চার্চিল। ফায়ারপ্লেসের দিকে চোখ পড়তেই সারা শরীর অবশ হয়ে গেল তার। চোখের সামনে দেখতে পেলেন, সামনে দাঁড়িয়ে স্বয়ং আব্রাহাম লিঙ্কন। গম্ভীর ভাবে তাকিয়ে আছেন তার দিকে। এরপর চিৎকার করে চার্চিল ডাকেন নিরাপত্তারক্ষীদের। এরপর থেকে আর সেই কক্ষে থাকতে চাননি তিনি।
শুধু চার্চিল নন লিঙ্কনের অশরীরী হোয়াইট হাউসের অনেকেই দেখেছেন। এখনও দেখতে পাওয়া যায় বলেই জানা গেছে। বিষয়টি গুজব বলে অনেকেই উড়িয়ে দেন, কিন্তু যারা সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন, তাদের বিশ্বাস আজও দৃঢ়৷
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/২১ আগস্ট ২০১৬/হিমেল-০৮