যুক্তরাষ্ট্রের আলাবামা অঙ্গরাজ্যের গ্রাম্য এলাকা চিতরোনেলের এক বাড়িতে পাঁচটি মরদেহ পাওয়া গেছে। তারা সবাই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনায় আত্মস্বীকৃত এক সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ, তবে তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সেখান থেকে পালিয়ে আসা এক নারী তাদের জানিয়েছেন, অপহরণের শিকার হয়েছিলেন তারা। সেখানে কিছু মানুষকে খুন করা হয়েছে। তবে ওই নারীর সম্পর্কে এখনও বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
স্থানীয় মোবাইল কাউন্টি শেরিফের কার্যালয় থেকে টুইটারে জানানো হয়, শনিবার এলাকার এক বাড়ি থেকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে একজন গর্ভবতী ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে অক্ষত অবস্থায় এক শিশুকেও উদ্ধার করা হয়েছে।
মিসিসিপির গ্রিন কাউন্টি এক সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিজেদের হেফাজতে রেখেছে। তবে সন্দেহভাজনের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। যেখান থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার হয়েছে তার থেকে মাত্র ১০ মাইল দূরত্বে গ্রিন কাউন্টির অবস্থান। হত্যাকাণ্ডে আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও অন্য কয়েক ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মোবাইল কাউন্টি শেরিফ দপ্তরের ক্যাপ্টেন পল ব্রুচ। তবে অস্ত্রগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি তিনি।
শেরিফের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তি গ্রিন কাউন্টি শেরিফের কার্যালয়ে নিজে এসে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। একইভাবে কর্তৃপক্ষের বরাতে সিএনএন জানিয়েছে, লাশ উদ্ধারের কয়েক ঘন্টার পর নিজ রাজ্য মিসিসিপিতে ডেরিক রায়ান ডিয়ারম্যান নামে ২৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি আত্মসমর্পণ করেছেন। তার সঙ্গে নিহতদের সম্পর্ক বের করতে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আলাবামা মিডিয়া গ্রুপের খবরে আরও বলা হয়, শনিবার দুপুরে চিতরোনেলের পুলিশ স্টেশনে এক নারী এসে দাবি করেন, তিনি আগের রাতে অপহরণের শিকার হওয়ার পর পালিয়ে এসেছেন। সেখানে কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের সবাই প্রাপ্তবয়স্ক বলে জানানো হয়েছে। ওই বাড়িটি থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি বন্দুকসহ বেশ কয়েকটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। তবে শেরিফের কার্যালয়ের মুখপাত্রের কাছ থেকে এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
বিডি-প্রতিদিন/এস আহমেদ