সৌদি আরবের প্রথা অনুযায়ী মেয়েদের কাজ বা লেখাপড়া করতে হলে, অথবা বিদেশে যেতে হলেও একজন পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি দরকার হয়। একমনিক অনেক সময় ফ্ল্যাট ভাড়া, হাসপাতালে চিকিৎসা কিংবা পদক্ষেপ নিতে গেলেও পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন হয়। এবার এই প্রথার অবসানের জন্য ১৪ হাজারেরও বেশি সৌদি নারীদের আবেদনের খবর এবং টুইটারে এ সংক্রান্ত হ্যাশট্যাগ ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। খবর বিবিসির।
অনেক নারী 'আমিই আমার অভিভাবক' লেখা ব্রেসলেটের ছবি শেয়ার করছেন। কয়েকশ' নারী সৌদি বাদশাহর কার্যালয়ে টেলিগ্রামও পাঠিয়েছেন।
আবেদনটি সৌদি রাজপ্রাসাদে নিয়ে গিয়েছিলেন নারীরা। কিন্তু সেখানে তাদের 'দাবিটি ইমেল করে পাঠিয়ে দিতে' বলা হয়।
নারী অধিকারকর্মী আজিজা আল-ইউসেফ বলছেন, তিনি এ উদ্যোগের জন্য গর্বিত বোধ করছেন।
আল-ইউসেফ এর আগে সৌদি মহিলাদের গাড়ি চালানোর অধিকার দেবার আন্দোলনেও যোগ দিয়েছিলেন, এ নিয়ে ২০১৩ সালে পুলিশ তাকে আটকিয়েছিল।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে মেয়েদের বয়েস ১৮ বা ২১ পার হলে তাকে যেন একজন প্রাপ্তবয়স্ক বলে বিবেচনা করা হয়। তবে, এ ব্যাপারে সৌদি সরকারের কোন প্রতিক্রিয়া এখনো জানা যায়নি।
বিডি-প্রতিদিন/২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/মাহবুব