১০ বছরের ছোট্ট আয়েশা। তিন দিন ধরে খাবার, পানীয় কিছুই পায়নি সে। কারণ বাড়ির পাশেই চলছে যুদ্ধ। ইরাকের মসুল শহরটিকে ইসলামিক স্টেট-এর হাত থেকে মুক্ত করার জন্য চলছে গোলা বর্ষণ ও বোমা বিস্ফোরণ।উদ্ধারকারী দল এসে দেখে আতঙ্কে অজ্ঞান হয়ে আছে আয়েশা।
ধীরে ধীরে আয়েশা ও তার মাকে সুস্থ করে তোলে সেনাবাহিনী দল। আয়েশাদের গ্রামটি উত্তর ইরাক থেকে ১৮ মাইল দূরত্বে। ২০১৪ সাল থেকেই গ্রামটি ছিল আইএসের দখলে।একজন টেলিভিশন সাংবাদিক এই উদ্ধারের দৃশ্য ক্যামেরাবন্দী করেন।
১০ বছরের মেয়েটি জানায়, জঙ্গিরা তার বাবাকে মেরে ফেলেছে। সে এবং তার মা কখনও ভাবতে পারেনি যে, কেউ তাদের উদ্ধার করবে। উদ্ধারকারী দল সেই গ্রামের আরও শিশুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু তারা এখন কী অবস্থায় রয়েছে, তা কিছুই জানা যায়নি।
মসুল হল ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। এখানে প্রায় ১.৫ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করে। এখানকার ছোট ছোট ছেলেদের অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় যোদ্ধা বানানোর জন্য। আর মেয়েদের অপহরণ করে যৌন ক্রীতদাস করে রাখা হয়। আয়েশার বয়সী অনেক বালিকার পরিণতি তাই হয়েছে। আয়েশার মা অনেক কষ্টে নিজের মেয়েকে আগলে রেখেছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/২৩ অক্টোবর, ২০১৬/ফারজানা