চাকুরিদাতারা তাদের কর্মচারীদের হিজাবসহ "যে কোনরকম রাজনৈতিক, দার্শনিক অথবা ধর্মীয় পরিচয় লোকের সামনে দৃশ্যত তুলে ধরে এমন পোশাক বা প্রতীক" পরা নিষিদ্ধ করতে পারবে বলে রায় দিয়েছে ইউরোপের শীর্ষ আদালত। তবে ইউরোপীয়ান কোর্ট অফ জাস্টিস তার রায়ে এও বলেছে, সব কর্মচারীর "সাজপোশাক নিরপেক্ষ" রাখার নিজস্ব নীতির উপর ভিত্তি করে কর্মদাতা প্রতিষ্ঠানকে এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এটা কোনো একজন ভোক্তার ব্যক্তিগত ইচ্ছার ভিত্তিতে করা যাবে না।
কর্মস্থলে হিজাব পরার ব্যাপারে এটি এই আদালতের প্রথম রায়। বেলজিয়ামে জি ফোর এস কোম্পানির এক রিসেপশনিস্টকে হিজাব পরার কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার এক মামলায় ইউরোপীয় বিচার আদালত এই রায় দিল। বেলজিয়ামের আদালত আইনী ব্যাখ্যার জন্য ইউরোপের সর্বোচ্চ আদালতে এই মামলা হস্তান্তর করেছিল। খবর বিবিসির।
সামিরা আচবিতা নামের ওই রিসেপশনিস্ট তিন বছর ওই প্রতিষ্ঠানে চাকর করার পর যখন কর্মস্থলে হিজাব পরতে শুরু করেন, এরপরই তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। তখন সামিরা দাবি করেছিল, তিনি ধর্মীয় বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। কিন্তু তার চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মক্ষেত্রের নিয়মবিধি সংস্কার করে কাজের জায়গায় "যে কোনরকম রাজনৈতিক, দার্শনিক অথবা ধর্মীয় পরিচয়বহনকারী পোশাক বা প্রতীক দৃশ্যত তুলে ধরা এবং/অথবা এধরনের বিশ্বাসের প্রদর্শন" নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল," বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে আদালত।
বিডি-প্রতিদিন/১৪ মার্চ, ২০১৭/মাহবুব