গুরমিত রাম রহিম সিংহের তথাকথিত মানসকন্যা হানিপ্রীত ইনসান তথা হানিপ্রীত সিংহ হরিয়ানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করার পরে যেসব তথ্য উঠে আসছে, তাতে অন্তরালবর্তী মাফিয়া ডন দাউদ ইব্রাহিমও চমকে উঠতে বাধ্য। সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রাকশিত হয়েছে হানিপ্রীতের গোপন জীবেনের বিবিধ বিচিত্র তথ্য।
বাবা রাম রহিমের সাজা ঘোষণার পর থেকে ৩৮ দিন লাপত্তা ছিল হানিপ্রীত। এই সময়ে সে তিনটি আন্তর্জাতিক ও ১৬টি দেশীয় সিমকার্ড ব্যবহার করেছে বলে জানা গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জনৈক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, পাঁচকুলায় গণহিংসা ছড়ানোর তদন্ত করতে গিয়েই তাঁরা বিভিন্ন মোবাইল কোম্পানির সাহায্য নেন। হানিপ্রীতের অবস্থান ট্র্যাক করার চেষ্টাও শুরু হয়। হানিপ্রীতের সঙ্গিনী সুখদীপকে জেরা করে ৪টি ফোন নম্বর পাওয়া যায়, যেগুলি হানিপ্রীত ব্যবহার করছিল।
এদিকে যখন হানিপ্রীতের মোবাইল রহস্য ঘনীভূত, তখন সোশ্যাল মিডিয়ার খোঁজখবর করতে বেরিয়ে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। হানিপ্রীত কৌর বা হানিপ্রীত ইনসান নয়, আরও এক নামে সে একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল। ‘গুরলীন ইনসাঁ’ নামের সেই অ্যাকউন্ট থেকে কয়েকদিন আগে যাবতীয় তথ্য ডিলিট করা হয়। এখন এই তৃতীয় নামটি ধারণ করে সে কী কী দুষ্কর্ম করেছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, হানিপ্রীতের আসল নাম প্রিয়াঙ্কা তানেজা। তারে ‘দত্তক’ নেওয়ার পরে রাম রহিম তার নামকরণ করে হানিপ্রীত ইনসান।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার