উত্তর কোরিয়ার সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষার জবাব দিতে জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে ‘পদক্ষেপের ব্যাপকতা’ নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার প্রেসিডেন্টের দফতর এ কথা জানায়।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, ট্রাম্পের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস ও শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল জোসেফ ডানফোর্ড তাদের বক্তব্যে উত্তর কোরিয়ার যে কোনো ধরণের আগ্রাসনের জবাব দেয়ার ক্ষেত্রে পদক্ষেপের ব্যাপ্তির ওপর গুরুত্ব দেন। যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশগুলোকে পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি থেকে নিরাপদ রাখতে এক্ষেত্রে প্রয়োজনে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা বারবার ব্যর্থ হয়েছে তিনি এমন কথা বলার কয়েকদিন পর এ আলোচনা করা হলো। আরো বলা হয় যে এক্ষেত্রে ‘কেবলমাত্র একটি পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করতে হবে।’
পারমাণবিক ক্ষমতাধর এ দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। ফলে উভয় নেতা পরস্পরকে লক্ষ্য করে অপমানজনক কথা বলেন।
শনিবার এক টুইটার বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ’যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রেসিডেন্ট ও তাদের প্রশাসন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনা করে আসছে। এক্ষেত্রে অনেক চুক্তি ও অর্থ ব্যয় হয়েছে।’
এক্ষেত্রে ‘কোনো চুক্তিই কাজে আসেনি। এমনকি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের কালি শুকিয়ে যাওয়ার আগেই অনেক চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। বরং এসব ক্ষেত্রে মার্কিন আলোচকদের মহা বোকা বানানো হচ্ছে। তাই দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে কেবলমাত্র একটি পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করতে হবে।’
বিডি প্রতিদিন/১১ অক্টোবর ২০১৭/এনায়েত করিম