আংশিক জৈব জ্বালানিতে বিমান উড়িয়ে মাইলস্টোন গড়ল ভারতের বেসরকারি বিমানসংস্থা স্পাইসজেট এয়ারক্রাফটের (বোম্বারডিয়ার কিউ-৪০০) বিমান। সোমবার আংশিক জৈব জ্বালানি এবং সাধারণ জ্বালানির সহায়তায় উড়াল দেয় এই বিমান। উত্তরাখন্ডের দেরাদুনের জলি গ্র্যান্ট বিমানবন্দর থেকে উড়ে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এই বিমান।
ডবমানের জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত তেলে দাম অনেকটাই বেশি। সেটা সরাসরি প্রভাব পড়ে যাত্রী ভাড়ার ক্ষেত্রে, বিমান পরিবহন সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তাই মূলত খরচ কমানোর লক্ষ্যেই জৈব জ্বালানি ব্যবহার করা হয়েছে বিমান চালানোর ক্ষেত্রে।
স্পাইসজেট থেকে বলা হয়, জৈব পদার্থ পচিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই তেল। যার মধ্যে রয়েছে কৃষি অবশিষ্টাংশ, অভোজ্য তেল, কারখানার জৈব পদার্থ, পৌরসভার বর্জ্য পদার্থ। দূষণ মুক্তির পাশাপাশি অনেক খরচ কমাতে সাহায্য করবে জৈব-জ্বালানি। যদিও এদিনের ট্রায়াল রানের আগে গত কয়েক মাস ধরে দেরাদুনে অবস্থিত ভারতীয় ইনস্টিটিউট অব পেট্রোলিয়ামে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছিল।
এদিন উত্তরাখন্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াতের পতাকা ওড়ানোর পরই দেরাদুনের জলি গ্র্যান্ট এয়ারপোর্ট থেকে টেক অফ করে বিমানটি। ৭২ আসনের স্পাইসজেটের এই বিমানে ডান দিকের ইঞ্জিনে জৈব জ্বালানি (২৫ শতাংশ) প্রয়োগ করা হয়েছিল, আর বাম দিকের ইঞ্জিনটিতে ছিল সাধারণ জ্বালানি (৭৫ শতাংশ)। বিমানটিতে ২০ জন কর্মকর্তা ও ৫ জন ক্রু সদস্য সহ যাত্রী ছিলেন ২৫ জন। দেরাদুন থেকে দিল্লি পৌঁছতে সময় লাগে প্রায় চল্লিশ মিনিটের কাছাকাছি। দিল্লি বিমানবন্দরে সেসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী সুরেশ প্রভু, ওই মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত সিনহা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী হর্ষ বর্ধণ, তেল মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান, সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়কড়ি, স্পাইশজেট-এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অজয় সিং প্রমুখ।
তবে শুধু খরচ কমানোই নয়, আগামী দিনে এই জৈব জ্বালানি ব্যবহারে দূষণের মাত্রাও অনেক কম হবে বলে জানা গেছে। অজয় সিং বলেন, ‘আজকের এই প্রযুক্তিগত পরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল জৈব জ্বালানি দিয়েও বিমান চালানো সম্ভব। এর ফলে জ্বালানির খরচ ১৫-২০ শতাংশ কমবে।’
বিডি প্রতিদিন/হিমেল