প্রবাসী পাকিস্তানিদের কাছে সাহায্যের আবেদন করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার আবেদন দেশের পানির সমস্যা মেটাতে অর্থ সাহায্য করুন প্রবাসী পাকিস্তানিরা। যাতে সেই টাকা দিয়ে দেশের বাঁধ ও জলাধারগুলির সংস্কার করে উন্নতি সাধন করা যায়।
নতুন বাঁধ ও জলাধার নির্মাণের জন্য প্রয়োজন বিপুল অঙ্কের টাকা। যা পাকিস্তান সরকারের হাতে নেই। সেই অর্থাভাব মেটাতেই ইমরান খানের এই আবেদন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। দেশের পানি সমস্যা মেটাতে ও কৃষিকাজে গতি আনতে বেশ কয়েকটি বাঁধ নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করা হচ্ছে। তার জন্যই প্রবাসী নাগরিকদের সাহায্য করার কথা বলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
গত শুক্রবার এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাতকার দেওয়ার সময় এই কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, বাঁধ ও জলাধার নির্মাণ করতে গেলে এখন পাকিস্তানের প্রয়োজন কয়েক বিলিয়ন ডলার। যার জন্য তার ভরসা প্রবাসী পাকিস্তানিরা৷ তাদের প্রত্যেকের কাছে তিনি অনুরোধ জানিয়েছেন যে দেশকে যেন তারা অর্থ সাহায্য করেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের প্রয়োজন ৫৬০০ কিউবিক মিটার পানি। এখন তারা পাচ্ছেন ১০০০ কিউবিক মিটার পানি। সুতরাং পরিস্থিতি ভয়াবহ। পাকিস্তানের ওপর ৩০ হাজার বিলিয়ন ডলারের ঋণ রয়েছে। তা কাটিয়ে উঠে বাঁধ নির্মাণ সম্ভব নয় পাকিস্তান সরকারের পক্ষে বলে জানিয়েছেন ইমরান।
তিনি আরও বলেন, যদি প্রত্যেক প্রবাসী পাকিস্তানি দেশকে ১০০০ ডলার করে অনুদান দেন, তবে খুব সহজেই এই পানিসংকটের মোকাবিলা করতে পারবে তার দেশ। সেই টাকা কোনভাবেই নয়ছয় হবে না আশ্বস্ত করেছেন তিনি।
এর আগে, জাতিসংঘের ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম ও পাকিস্তান কাউন্সিল অফ রিসার্চ ইন ওয়াটার রিসোর্সের রিপোর্টে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্টে বলা হয় ২০২৫ সালের মধ্যে পাকিস্তানে দেখা দেবে খরা। জলকষ্টে ভুগবেন পাকিস্তানিরা। রিপোর্টে বলা হয়েছে এখন থেকে পানি সংরক্ষণে উদ্যোগী না নিলে আগামীদিনে পানি নিয়ে যুদ্ধ বেধে যেতে পারে পাকিস্তানে। তাই এখন থেকে ব্যবস্থা না নিলে ২০২৫ সালের মধ্যে শুখা রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারে পাকিস্তান। চাহিদার তুলনায় কমে যাবে জল সরবরাহ।
পাকিস্তানের বর্তমান জনসংখ্যা ২০ কোটি ৩০ লক্ষ। কিন্তু আগামী সাত বছরের মধ্যে এই জনসংখ্যা আরও বেড়ে যাবে। পানিসংকটের কারণ হিসাবে জনসংখ্যা বৃদ্ধিকেও দায়ী করা হয়েছে। ১৯৫০ সালের পর থেকে ধীরে ধীরে পাকিস্তানে পানি সরবরাহ কমেছে।
বিডি প্রতিদিন/ আব্দুল্লাহ সিফাত তাফসীর