লাগামছাড়া জ্বালানীর দাম। যার জেরে মধ্যবিত্তদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। জ্বালানীর মূল্যবৃদ্ধির জেরে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। এমন পরিস্থিতিতে সরকারবিরোধী প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে ফ্রান্স। মুখে কালো কাপড় বেঁধে আর শরীরে হলুদ জ্যাকেট (ইয়েলো ভেস্ট) জড়িয়ে নিয়ে ফ্রান্সের সেন্ট্রাল প্যারিসের রাস্তাজুড়ে প্রতিবাদ করে চলেছে একদল যুবক।
চরম ডানপন্থি ও চরম বামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর সহিংস কর্মীরা ‘ইয়েলো ভেস্ট’ আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করেছে বলে আশঙ্কা ফ্রান্স পুলিশের।গত এক দশকের মধ্যে এমন দাঙ্গা দেখেনি ফ্রান্স। 'ইয়েলো ভেস্ট' প্রতিবাদকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ। এখনও পর্যন্ত ১৩৩ জন আন্দোলনকারী গুরুতর আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। ৪১২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। যার জেরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে চলেছে ফ্রান্স সরকার।
ইতোমধ্যে আলোচনার মাধ্যমে গুরুতর সমস্যা সমাধানের আবেদন জানিয়েছেন ফ্রান্স সরকারের মুখপাত্র বেঞ্জামিন গ্রিভাক্স। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গ্রিভাক্স জানান, কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায় সেই বিষয়ে জরুরিকালীন ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে এবং দ্রুত তা প্রয়োগ করা হবে।
গত ১৭ নভেম্বর শুরু হয় এই বিপ্লব। দু’সপ্তাহ হতে না হতেই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে 'ইয়েলো ভেস্ট' আন্দোলনকারীরা ফ্রান্সজুড়ে রাস্তাগুলোতে অবরোধ শুরু করে। এতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রন তার মেয়াদের প্রথম ১৮ মাসের মধ্যেই অন্যতম সবচেয়ে বড় ও ধারাবাহিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন।
গতকাল রবিবার ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী এদুয়া ফিলিপ এবং ইন্টেরিয়ার মিনিস্টারের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করবেন প্রেসিডেন্ট ইমান্যুয়েল ম্যাক্রন। কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব ? সেই বিষয়েই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই এই এই বৈঠকে। সমস্যা একটাই, এই আন্দোলনের কোনও নেতা নেই। তাই কীভাবে আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব। সেই নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছে ফ্রান্স প্রশাসন।
বিডি প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ সিফাত