১৯৮৮ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত বহু নির্বাচনে লড়াই করেছেন তিনি। কিন্তু একবারও জয়ের মুখ দেখেননি কে. পদ্মরাজন। পরাজয়ের রেকর্ড গড়ে ইতিমধ্যেই ‘লিমকা বুক অফ রেকর্ডস’এ তিনবার নামও তুলেছেন তিনি।
স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন-একটার পর একটা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য ‘নির্বাচন রাজা’ বলেও পরিচিত হয়েছেন ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের সালেম জেলার বাসিন্দা পদ্মরাজন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী ও পিভি নরসিমা রাও, তামিলনাড়ুর প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী জে. জয়ললিতা, আরেক প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী এম.করুণানিধি, কেন্দ্রীয় সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ.কে.অ্যান্টনি, সাবেক রাষ্ট্রপতি কে.আর.নারায়ণন ও প্রণব মুখার্জি, ডিএমকে প্রধান এম. কে. স্টালিন, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. এম. কৃষ্ণাসহ একাধিক ব্যক্তির বিপক্ষে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর বিরুদ্ধে রাজ্যসভার প্রার্থীও হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিবারই খালি হাতে ফিরতে হয়েছে পদ্মরাজন-কে।
তামিলনাড়ুর পাশাপাশি কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ এমনকি দিল্লি থেকেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন তিনি। জীবনভর এতটাই পরাজয়ের স্বাদ পেয়েছেন যে দ্বিধাহীনভাবে পদ্মরাজন জানান, আমি যদি জয় পাই, তবে হৃদরোগে আক্রান্ত হবো।
১৯৮৮ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নির্বাচনে ১৭৮ বার পরাজয়ের মুখ দেখেছেন পদ্মরাজন। নির্বাচনে হেরে প্রায় ২০ লাখ রুপি জামানত জব্দও হয়েছে তার।
পদ্মরাজনের অভিমত তার জীবনে লক্ষ্যই হল সমাজে এই বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া তা হল গণতন্ত্রে যে কোন ব্যক্তিই নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। রেকর্ড করার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনগুলিতেও তিনি অংশ নিতে চান বলে জানায়।
পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক জানান, প্রথম দিকটায় তার স্ত্রী ও সন্তানরা এর বিরোধিতা করলেও এখন পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিয়েছেন। আসন্ন লোকসভার নির্বাচনেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ধর্মপুরী কেন্দ্র থেকে লড়াই করছেন তিনি। বিপক্ষে রয়েছেন সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও পিএমকে প্রার্থী আন্বুমানি রামাদোস।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা