বড়সড় পরিকল্পনা ছিল। ফের নিশানায় ছিল নয়াদিল্লি। জইশ ই মহম্মদের অন্যতম সদস্য ও নেতা আবদুল মজিদ বাবাকে গ্রেফতারের পর একথাই জানতে পারে পুলিশ। মে মাসের ১১ তারিখ তাকে জম্মু কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
পেশ করা হয় শ্রীনগর সিজেএমের সামনে। এই পলাতক জঙ্গির মাথার দাম ধার্য করা হয়েছিল ২ লক্ষ টাকা। দিল্লি পুলিশ এই দাম ধার্য করে। কুখ্যাত জঙ্গিকে মঙ্গলবার ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যাওয়া হয় নয়াদিল্লিতে।
বেশ কয়েক মাস ধরে এই জঙ্গির খোঁজ করছিল পুলিশ। পুলিশের বিশেষ সেল আবদুল মজিদের খোঁজে কাজ করছিল শ্রীনগর ও কাশ্মীরের বেশ কিছু এলাকাজুড়ে। অবশেষে সাফল্য আসে। আবদুল মজিদ আদতে বারামুল্লা জেলার সোপোর টাউনের মাগ্রেপোরা গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় ওয়ারেন্ট ইস্যু করে দিল্লি হাইকোর্ট। দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল শ্রীনগরে তল্লাশি শুরু করে। তারপরই গ্রেফতার করা হয় আবদুল মজিদকে।
এর আগে, সোমবার সন্দেহজনক গতিবিধি দেখে সন্দেহ করে অবন্তিপোরার শওকত আহমেদ ও কুলগামের তৌফিক আহমেদকে জম্মুর গুল এলাকা থেকে ভোর সাড়ে তিনটে নাগাদ গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার জম্মুর রামবান জেলা থেকে এই দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জঙ্গি সন্দেহে এদের গ্রেফতার করা হয়।
রামবান জেলার পুলিশ সুপার জানান, এটা পুলিশের বড়সড় সাফল্য।
ইতিমধ্যেই ওই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কেন তারা অহেতুক ওই এলাকা অত রাতে ঘোরাফেরা করছিল, তাদের সঙ্গে আর কে রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাদের পরিচয়পত্রও আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে, রবিবার সাতসকালে ফের গুলির শব্দে ঘুম ভাঙে উপত্যকাবাসীর। ফের জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযানে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। ফের দু’পক্ষের গোলাগুলি বিনিময়। নিহত হন ওই দুই জঙ্গি।
সূত্র: কলকাতা২৪
বিডি প্রতিদিন/কালাম