ভারতের চন্দ্রাভিযান একশ শতাংশ সফল না হলেও ইসরোর সেই প্রচেষ্টা নজর কেড়েছে পুরো বিশ্বের। শনিবার মধ্যরাতে শেষ মুহূর্তে চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার দূরে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয় ইসরোর। ইসরোর এই প্রচেষ্টাকে প্রশংসা জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
এক টুইট বার্তায় নাসার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘মহাকাশ খুবই চ্যালেঞ্জিং জায়গা। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে ইসরোর চন্দ্রযান-২ নামানোর চেষ্টার প্রশংসা করছি। আপনারা আমাদের উৎসাহ দিয়েছেন। আশাকরি ভবিষ্যতে মহাকাশ গবেষণায় আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’
চন্দ্রাভিযানের আগেই এর সম্পর্কে ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, চন্দ্রযান ২ এর অভিযান অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়। আগের অভিযানগুলোর তুলনায় এটি অনেকবেশি উন্নত। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এখনও কোনও অভিযান হয়নি। সেখানেই কাজ করবে চন্দ্রযান-২।
উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টম্বর ভারতের চন্দ্রযান-২ এর অরবিটারের সঙ্গে সফলভাবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় ল্যান্ডার বিক্রমের। তা পর থেকেই শুরু হয়েছিল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামার চ্যালেঞ্জিং প্রক্রিয়া। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপরেই বিক্রমের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর।
এর আগে শুক্রবার নাসা জানিয়েছে, এই ধরনের অভিযানের ৬০ শতাংশই ব্যর্থ হয়েছে। গত বছর ইসরায়েলের চন্দ্রাভিযানও সফল হয়নি। ইসরোর মতে এই অভিযান ৯০-৯৫ শতাংশ সফল হয়েছে। ল্যান্ডারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলেও কাজ করবে অরবিটার।
ইসরো চেয়ারম্যান বলেন, অভিযানের প্রতিটি ধাপের সাফল্যের পর্যালোচনা হয়েছে। ১০০ শতাংশের কাছাকাছি সফল হয়েছে মিশন।
এছাড়া তিনি জানান, অরবিটারের আয়ু এক বছর ভাবা হয়েছিল। কিন্তু অতিরিক্ত জ্বালানি থাকায় সেটি সাড়ে সাত বছর চাঁদের কক্ষপথে থাকবে। সূত্র: জি নিউজ
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন