কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা চালিয়ে যেতে ভারতের দিল্লি পুলিশকে অনুমতি দিল আম আদমি সরকার। দীর্ঘ প্রায় এক বছর এই সিদ্ধান্ত ঝুলিয়ে রেখেছিল সে রাজ্যের আম আদমি সরকার।
বিজেপির অভিযোগ ছিল, জেএনইউ'র ওই প্রাক্তন ছাত্র নেতাকে বাঁচাচ্ছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সেই মামলায় ইতোমধ্যে চার্জশিট দাখিল হলেও, এক ফোঁটাও এগোয়নি শুনানির কাজ। আপ সরকারের তরফে অনুমতি না মেলায়, সেই চার্জশিট খারিজ করেছিল আদালত।
আদালতের তরফে নির্দেশ ছিল, রাজ্য সরকার থেকে অনুমতিপত্র মিললেই এগোবে শুনানির কাজ। কিন্তু দিল্লির কেজরিওয়াল সরকারের গা ছাড়া মনোভাবের কারণে গত একবছরে একচুল এগোয়নি শুনানির কাজ। গেরুয়া শিবিরের তরফে এমনই অভিযোগ করা হচ্ছে। এরপর একসপ্তাহ আগে ফের দিল্লি পুলিশের তরফে অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিল।
এদিকে, সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরিস্থিতি কী, জানতে চেয়ে শুক্রবার আদালতে তলব করা হয়েছিল দিল্লি পুলিশকে। আদালতে পুলিশ, আপ সরকারের গা ছাড়া মনোভাবের প্রসঙ্গে অনুযোগ করে।
আদালত থেকে বলা হয়, "ফের একবার দিল্লি সরকারকে মনে করান।" আদালতের এই আদেশ মেনে কেজরিওয়াল সরকারের কাছে দরবার করলেই, নিজের অবস্থান থেকে ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরে দিল্লি পুলিশকে মামলা চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি শুক্রবার দিল কেজরিওয়াল সরকার। যদিও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এই মামলা দায়ের, একবছর আগেই সরব হয়েছিলেন জেএনইউ'র প্রাক্তন ওই ছাত্র নেতা। একই সুর শোনা গিয়েছে অপর অভিযুক্ত উমর খালিদের গলাতে।
২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি ছিল আফজল গুরুর ফাঁসি কার্যকরের চার বছর। সেদিনে জেএনইউ-এর ক্যাম্পাসে এক প্রতিবাদ সভা আয়োজন করা হয়েছিল। সেই প্রতিবাদ সভা থেকেই উঠেছিল দেশদ্রোহিতার স্লোগান। সেই সভার নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালীন ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমারসহ ছাত্র নেতা উমর খালিদ ও অনির্বাণ ভট্টাচার্য। এই তিন প্রাক্তন ছাত্র নেতাসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে এফআইআর দায়ের করেছিল পুলিশ। সেই ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯ থেকে ঝুলে এই মামলার ভবিষ্যৎ। যা এদিনের পর থেকে গতি পাবে, দাবি আইনজ্ঞদের।
গত লোকসভা নির্বাচনে বেগুসরাই থেকে বাম প্রার্থী হয়েছিলেন কানহাইয়া কুমার। কিন্তু বিজেপির প্রার্থী তথা বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিংয়ের কাছে প্রায় ৪ লাখ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন কানহাইয়া কুমার। সূত্র: এনডিটিভি।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন