মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বর্ণবৈষম্যের মাত্রা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যু। ফলে প্রশ্ন ওঠারই ছিল। মার্কিন সংবাদ সংস্থার সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কৃষ্ণাঙ্গদের উপর পুলিশি অত্যাচার নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানালেন, পুলিশের হাতে শ্বেতাঙ্গদেরই মৃত্যু হয় বেশি
ওই অনুষ্ঠানে টপ্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, পুলিশের হাতে শ্বেতাঙ্গরাই বেশি মরেন। ফলে এমন প্রশ্ন করাই ভয়ানক। আমি অনেককেই দেখেছি তারা কনফেডারেট পতাকা পছন্দ করেন, অথচ তারা দাসত্ব মোটেই সমর্থন করেন না।
উল্লেখ্য, দাসপ্রথা উচ্ছেদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ও দক্ষিণের প্রদেশগুলির মধ্যে তুমুল গৃহযুদ্ধ হয়। দাসত্বের শিকল কাটতে মার্কিনীদের মূল্য দিতে হয়েছে অনেক। তবে সে কথা আজ ইতিহাস। ওই প্রসঙ্গ টেনেই প্রেসিডেন্ট বোঝাতে চেয়েছেন যে যুক্তরাষ্ট্র পাল্টে গেছে।
তবে ট্রাম্পের যুক্তি মানতে নারাজ অনেকেই। কারণ ফ্লয়েডের হত্যা নিয়ে সে ভাবে কিছু বলতে শোনা যায়নি ট্রাম্পকে। বরং ‘শ্বেতাঙ্গই সেরা’ ভিডিও টুইট করে বিতর্ক উস্কে দেন তিনি। যদিও চাপের মুখে সেই পোস্ট মুছে দেন তিনি।
এদিকে, একটি প্রথম সারির মার্কিন দৈনিকের সদ্য সমাপ্ত সমীক্ষায় দাবি করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে জনসংখ্যার ১৩ শতাংশেরও কম কৃষ্ণাঙ্গ। কিন্তু পুলিশের হাতে তাদের মৃত্যুর ঘটনার হার শ্বেতাঙ্গদের দ্বিগুণ। ফলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের যুক্তি যে ধোপে টিকছে না তা বলাই বাহুল্য।
উল্লেখ্য, গত ২৫ মে মিনিয়াপোলিসের রাস্তায় পুলিশের হাঁটুর চাপে মারা যান কৃষ্ণাঙ্গ-মার্কিন নাগরিক জর্জ ফ্লয়েড। তারপরই প্রতিবাদের আগুনে জ্বলে উঠে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সবগুলি প্রদেশ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছায় যে হোয়াইট হাউসের গোপন বাঙ্কারে লুকোতে হয় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। এমন সঙ্কটে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি’র সুরক্ষায় ন্যাশনাল গার্ডের পাশপাশি সেনা মোতায়েন করার নির্দেশ দেন ট্রাম্প। যদিও চাপে পড়ে সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হয় তাকে।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ তাফসির