২৩ অক্টোবর, ২০২০ ১২:৪১

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধে অন্তত পাঁচ হাজার নিহত

অনলাইন ডেস্ক

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধে অন্তত পাঁচ হাজার নিহত

নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধে আর্মেনীয় সেনারা

নাগোরনো-কারাবাখ নিয়ে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের যুদ্ধ প্রসঙ্গে দীর্ঘ বিবৃতি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানালেন, এ যুদ্ধ নিহতের সংখ্যা অন্তত পাঁচ হাজার।

আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়া দুটি দেশের সঙ্গেই প্রতিদিন যোগাযোগ রাখছেন তিনি। দিনে একাধিকবার ফোনে কথা হচ্ছে দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে। বৃহস্পতিবার একটি টেলিভিশন বিবৃতিতে এ কথা জানান পুতিন। 

তার বক্তব্য, এই যুদ্ধে কোনো পক্ষকেই সমর্থন করছেন না তিনি। যুদ্ধ যাতে দ্রুত থামে তার জন্য সবরকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এ দিনের বিবৃতিতে পুতিন আমেরিকাকেও রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। 

প্রসঙ্গত, শুক্রবারই আমেরিকার সচিব মাইক পম্পেও-র সঙ্গে আজারবাইজান এবং আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠক হওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

নাগোরনো-কারাবাখের স্বাধীন প্রশাসন যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতির একটি হিসেব দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৮৭৪ জন সেনা এবং ৩৭ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে শুধু নাগোরনো-কারাবাখে। 

আজারবাইজান জানিয়েছে, সেখানে ৬১ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে সেনা মৃত্যুর কোনো সংখ্যা জানানো হয়নি। আর্মেনিয়া কিছু দিন আগে জানিয়েছিল, যুদ্ধে হাজারেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। 

পুতিন জানিয়েছেন, তার কাছে যা খবর, তাতে অন্তত পাঁচ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। কারণ, দুই দেশই যুদ্ধবিরতি মানতে চাইছে না।

বস্তুত, বৃহস্পতিবার পুতিন যখন এ বিষয়ে কথা বলছিলেন, তখনো দুই দেশের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ হচ্ছিল। 

আজারবাইজান জানিয়েছে, আর্মেনিয়া তিনটি ব্যালেস্টিক মিসাইল নিক্ষেপ করেছে আজারি শহর লক্ষ্য করে। অন্যদিকে আর্মেনিয়ার অভিযোগ, মারতুনি শহর এবং সংলগ্ন গ্রামে শেলিং করেছে আজারবাইজান।

পুতিন জানিয়েছেন, এই যুদ্ধে তিনি কোনো পক্ষেই নেই। তার একমাত্র লক্ষ্য দুই দেশের মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এ দিন তুরস্কেরও মৃদু সমালোচনা করেন পুতিন। বলেছেন, তুরস্ক যেভাবে আজারবাইজানকে সমর্থন করছে, তা তিনি সমর্থন করেন না। যদিও একই সঙ্গে তার বক্তব্য, এর্দোয়ান তার বন্ধু এবং তিনি মনে করেন, এর্দোয়ান এ বিষয়ে তার অভিমত বদল করতে পারেন।

চুক্তি অনুযায়ী আর্মেনিয়াকে সামরিক ক্ষেত্রে সাহায্য করার কথা রাশিয়ার। কারণ, দুই দেশের মধ্যে এই বিষয়ে নির্দিষ্ট চুক্তি রয়েছে। কিন্তু পুতিনের বক্তব্য, এই যুদ্ধে কোনো পক্ষকে সাহায্য করলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে যাবে। ফলে দুই পক্ষকে শান্তির পথে নিয়ে আসতেই হবে এবং তার জন্য রাশিয়া সবরকম প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।  

সূত্র: ডয়চে ভেলে, রয়টার্স ও বিবিসি
 
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর