ইচ্ছামৃত্যুর বিল পাশ হয়ে গেল স্পেনের সংসদের নিম্নকক্ষে। উচ্চকক্ষ বা সেনেটে তা পাশ হয়ে গেলেই এই আইন বলবৎ হয়ে যাবে। স্পেনে ইচ্ছামৃত্যুর বিল পাশ করানো খুব সহজে হয়নি। বাধা এসেছে অনেক।
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) দিনটিকে ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেছেন। এ দিন সে দেশের সংসদের নিম্নকক্ষে ইচ্ছামৃত্যু সংক্রান্ত বিলের উপর ভোট হয়। ভোটে জয় হয় ইচ্ছামৃত্যু বা ইউথেনেশিয়ার। এরপর স্পেনে গুরুতর অসুস্থ কোনো রোগী ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানাতে পারবেন। এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা সম্মত হলে ইচ্ছামৃত্যুর প্রক্রিয়া শুরু হবে।
স্পেনে ২০১৯ সালে ইচ্ছামৃত্যু নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল, দেশের সিংহভাগ মানুষ ইচ্ছামৃত্যুর পক্ষে। তবে ভিন্ন সুরও ছিল। দেশের কনজারভেটিভ পার্টি এবং অতি দক্ষিণপন্থী দল এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছিল। তাদের বক্তব্য, খ্রিস্টধর্মের প্রথা অনুযায়ী এই নিয়ম মেনে নেওয়া যায় না। ধর্ম আত্মহত্যাকে সমর্থন করে না।
বামপন্থী এবং মধ্য দক্ষিণপন্থীরা অবশ্য এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, যে ব্যক্তির চিকিৎসা আর সম্ভব নয়, যিনি অসুখে তীব্র কষ্ট পাচ্ছেন, তার ইচ্ছামৃত্যু বেছে নেওয়ার অধিকার থাকা উচিত।
এখন ইচ্ছামৃত্যু স্পেনে দণ্ডনীয় অপরাধ। ১০ বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, আগামী বছরের শুরুতে উচ্চকক্ষ বা সেনেটেও পাশ হয়ে যাবে আইনটি।
ইচ্ছামৃত্যুর আইন অবশ্য যথেষ্ট জটিল। রোগীকে বিভিন্ন পর্যায়ে মোট চারবার আবেদন জানাতে হবে। কোনো চিকিৎসক যদি এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে না চান, তাকে বাধ্য করা যাবে না। আবেদনকারীকে স্পেনের নাগরিক হতে হবে। অন্য দেশের মানুষ স্পেনে গিয়ে ইচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানাতে পারবেন না।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ