শিরোনাম
২১ এপ্রিল, ২০২১ ১৪:২৪

রাজকুমারী লতিফাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে, আরব আমিরাতকে জাতিসংঘ

অনলাইন ডেস্ক

রাজকুমারী লতিফাকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে, আরব আমিরাতকে জাতিসংঘ

লতিফা আল মাকতুম

দুবাইয়ের আটক রাজকুমারী লতিফা আল মাকতুমের অবিলম্বে মুক্তি চেয়েছে জাতিসংঘ।

জেনেভায় স্থানীয় সময় মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা এই দাবি জানান। খবর বিবিসির।

এর আগে লতিফা আল মাকতুম বেঁচে আছেন কি না, সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ চেয়েছিল জাতিসংঘ।

আমিরাতের কর্তৃপক্ষ রাজকুমারী লতিফাকে বাসায় যত্নে রাখা হয়েছে একটি বিবৃতিতে জানায়। কিন্তু জাতিসংঘ সেটিকে যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছে।

এই অবস্থাতেই বিবৃতিতে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা আর বিলম্ব না করে রাজকুমারী লতিফার মুক্তি চাইলেন।

এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার (ওএইসিএইচআর) বলেছে, দুবাইয়ের এই রাজকন্যা জীবিত আছেন কিনা, সেই প্রমাণ চাইলে আরব আমিরাত তা দিতে পারেনি।

দুবাই শাসকের এই নিখোঁজ কন্যাকে সবশেষ ২০১৮ সালে দেখা গিয়েছিল। গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত বলেছে, প্রিন্স লতিফা পরিবার ও চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে বাড়িতে আছেন।

তিনি জীবিত আছেন কি না— দুবাইয়ের কাছে বেশ কয়েকবার সেই প্রমাণ চেয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থা। 

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রবসহ অন্যান্য পশ্চিমা দেশের সরকারের কাছ থেকেও একই দাবি এসেছে।

জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র মার্তা হুরতাদো বলেন, আমাদের অনুরোধে সাড়া দেয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত। লফিতার বর্তমান অবস্থা নিয়েও তাদের কাছ থেকে কোনো পরিষ্কার ব্যাখ্যা আসেনি।

তিনি বলেন, আমরা তার জীবিত থাকার কোনো প্রমাণ পাইনি। আমরা এমন একটি প্রমাণ চাই, যাতে তিনি বেঁচে আছেন বলে স্পষ্ট প্রমাণ থাকবে। আমাদের প্রথম উদ্বেগ হলো, রাজকন্যা লফিতা জীবিত আছেন—তা নিশ্চিত হওয়া।

লতিফার বিষয়ে কথা বলতে আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছেন জাতিসংঘের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা। 

হুরতাদো বলেন, লতিফার বড় বোন প্রিন্স শামসার বিষয়টিও তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ব্রিটেনের ক্যামব্রিজের সড়ক থেকে ২০০০ সালে তিনি অপহৃত হন।

এক ভিডিও বার্তায় ৩৫ বছর বয়সী শেখ লতিফা দাবি করেন, তার বাসাটি কারাগারে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এরপর তার ভাগ্য নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়।  ২০১৮ সালে তিনি আমিরাত ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। একটি ইয়টে করে প্রতিবেশী ওমান অতিক্রম করে আন্তর্জাতিক জলসীমায় প্রবেশ করেন।

তিনি মূলত ভারতের পশ্চিম উপকূলে পৌঁছাতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই ভারতীয় কোস্টগার্ড সদস্যরা তাকে আটক করে আরব আমিরাতের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়।

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর