ইসরায়েলের হামলার জবাব দিচ্ছে ফিলিস্থিনি। হামলার প্রতিশোধ হিসেবে দেশটির রাজধানী তেলআবিবসহ বিভিন্ন এলাকায় দুই হাজারের বেশি রকেট ছুঁড়েছে ফিলিস্তিনিরা। তবে দুই হাজারের মতো রকেট যদি ইসরায়েলে পড়তো তাহলে ধ্বংসযজ্ঞের পরিমাণ আরও বেশি হতো। কিন্তু এই নিশ্চিত ধ্বংসের হাত থেকে ইসরায়েলকে রক্ষা করছে ‘আয়রন ডোম’ নামে এক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা।
সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হামাসের রকেটের সক্ষমতা আগের তুলনায় অনেক বেশি। তারা এবার ঝাঁকে ঝাঁকে রকেট পাঠাচ্ছে ইসরায়েলের অভ্যন্তরে। তবে এই মুহূর্তে ইসরায়েলের সবচেয়ে আলোচিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আয়রন ডোম ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা রকেট ঠেকাতে সক্ষম হচ্ছে। ফ্রান্সের রাফাল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস এবং ইসরায়েল এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হয় এই আয়রন ডোম।
২০১১ সালের ২৭ মার্চ ইসরায়েলের সেনাবাহিনীকে দিয়ে প্রথম এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বসানো হয়। তারও এক মাস পরে এই যন্ত্র কাজে লাগে ইসরায়েলের। ওই বছর ৭ এপ্রিল ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ছোঁড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্রকে শনাক্ত করে আকাশেই ধ্বংস করে দেয়। কাজ শুরু করার মাত্র ৩ বছরের মধ্যে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ছোঁড়া অন্তত ১২০০ রকেট ধ্বংস করে দেয় এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। সেই সময় ইসরায়েলের সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন- এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কার্যকর না থাকলে হাজার হাজার ইসরায়েলি নাগরিকের মৃত্যু হতে পারতো সে সময়।ইসরায়েলের সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, আয়রন ডোমের ৯০ শতাংশ লক্ষ্য নির্ভুল। আয়রন ডোম তার আশেপাশে নূন্যতম ৪ কিলোমিটার থেকে সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার দূরত্ব থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করতে পারে। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী তাদের এই ক্ষমতা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। ৭০ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে সর্বোচ্চ সীমা ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত আয়রন ডোম এর সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে।
ইসরায়েলের সামরিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, দিনে, রাতে এবং সব আবহাওয়াতেই একইভাবে কাজ করে আয়রন ডোম। এদিকে ইসরায়েলের পরে যুক্তরাষ্টও এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। মার্কিন ‘আয়রন ডোম’-এর নাম স্কাই হান্টার।
সূত্র: ডয়েচে ভেলে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল