বাবাক খোরামদিন, জিনপ্রিয় ইরানি চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি পরিবার কর্তৃক ‘অনার কিলিং’-এর শিকার হয়েছেন। জানা গেছে, পরিবারের সম্মান রক্ষার জন্যই ছেলেকে হত্যা করেছেন তার বাবা। পরে সেই লাশ টুকরো টুকরো করে ডাস্টবিনে ফেলেছেন। গত রবিবার এই নির্মাতার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম মেট্রো বলছে, ৪৭ বছর বয়সী বোবাক খোরামদিন তেহরান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপর স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর কয়েক বছর লন্ডনে থাকেন এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। পরবর্তী সময়ে সিনেমা তৈরি শেখাতে ইরান ফিরে আসেন।
এ ঘটনায় পুলিশ বোবাক খোরামদিনের মা-বাবাকে গ্রেফতার করেছে। গত বুধবার তার বাবাকে আদালতে হাজির করা হয়। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। তেহরান ক্রিমিনাল কোর্টের প্রধান মোহাম্মদ শাহরিয়ারি জানান, বোবাক খোরামদিনের বাবা আকবর অপরাধ স্বীকার করেছেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি বলেছেন, বিয়ে না করা নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে বাবাক খোরামদিনের তর্ক হয়। এর এক পর্যায়ে হত্যার জন্য ছেলে বোবাকের শরীরে অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগ করেন একং পেটে ছুরি চালিয়ে হত্যা করেন। পরে লাশ আবর্জনার ব্যাগে করে ডাস্টবিনে ফেলে দেন।
আকবর খোরামদিন বলেন, ‘আমি যাদের হত্যা করেছি তাদের অতিমাত্রায় নৈতিক অবক্ষয় হয়েছিল।’ ছেলেকে হত্যার কথা স্বীকার করার পাশাপাশি আকবর খোরামদিন আরও জানান, তিন বছর আগে মেয়ে এবং দশ বছর আগে মেয়ের জামাইকে হত্যা করেছেন তিনি। সেগুলোও অনার কিলিং ছিল বলে জানা গেছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক