দক্ষিণ আফ্রিকায় চলমান সহিংসতার ঘটনায় দুই হাজারের বেশি বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ।দেশটিতে সহিংসতা দমনে পুলিশকে সহায়তা করার জন্য ২৫ হাজার সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমাকে কারারুদ্ধ করার প্রেক্ষাপটে শুরু হওয়া দাঙ্গায় এ পর্যন্ত অন্তত ১১৭ জন নিহত হয়েছেন। সহিংসতার ঘটনায় দুই শতাধিক দোকানপাটে লুটপাট ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বাজারঘাট, শপিং মল ও গুদাম ঘর।
দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৯৯৪ সালে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘু শাসন অবসানের পর এই প্রথম এত বিপুলসংখ্যায় সৈন্য মোতায়েন করা হলো। সরকার জানিয়েছে, রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে ১০ হাজার সৈন্য। আর সাউথ আফ্রিকান ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্সও ১২ হাজার রিজার্ভ ফোর্স তলব করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে জনবহুল গুতেং প্রদেশে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সশস্ত্র সৈন্যদের টহল দিতে দেখা যায়। উল্লেখ্য, রাজধানী জোহানেসবার্গ ও নির্বাহী রাজধানী প্রিটোরিয়া এই প্রদেশেই অবস্থিত।
সৈন্যদের পরিবহনে বাস, ট্রাক, বিমান ও হেলিকপ্টারও ব্যবহার করতে দেখা যায়। গত শুক্রবার দেশটিতে উত্তেজনা দেখা দেয়। সাবেক প্রেসিডেন্ট জুমাকে কারাগারে নেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হলেও বৈষম্য ও দারিদ্র্যের ব্যাপক বিস্তারও এতে ভূমিকা রাখছে।
উচ্চপর্যায়ের একটি দুর্নীতি নিয়ে তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিটির কাছে হাজির না হওয়ায় ৭৯ বছর বয়স্ক জুমাকে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি ২০০৯ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তবে জুমা নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, তিনি প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন।
সংবাদসংস্থা রয়টার্স জানায়, কিছু এলাকায় এখনো লুঠতরাজ চলছে। কিছু এলাকায় মানুষই রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন। কিন্তু এরকম চলতে থাকলে জ্বালানি ও খাবারের অভাব দেখা দিতে পারে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার