মার্কিন সেনা সরতেই আফগানিস্তানে তুমুল লড়াই শুরু করেছে তালেবান। দেশটির বিস্তীর্ণ এলাকা দখল করেছে জিহাদি এই সংগঠনটি। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে আফগান সরকারি বাহিনীর বহু সৈনিক প্রাণ বাঁচাতে তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তানে পালিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতে এবার আফগানিস্তান সীমান্তে উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করতে চলেছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী।
রুশ বিদেশ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আগামী আগস্ট মাসের ৫ থেকে ১০ তারিখ পর্যন্ত আফগান সীমান্ত লাগোয়া তাজিকিস্তানের খারভমাইদন সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কাছে মহড়া চালাবে রাশিয়া, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তানের সেনা।
রুশ সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট কমান্ডার আলেকজান্ডার লাপিন জানান, হঠাৎ সীমান্তের অপার থেকে সশস্ত্র হনদার বাহিনী হামলা চালালে কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে সেই কৌশল ঝালিয়ে নিতেই এই মহড়া।
বিশ্লেষকদের মতে, তাজিকিস্তান ও উজবেকিস্তান লাগোয়া বেশ কিছু বর্ডার পোস্ট দখল করেছে তালেবান। সামরিক শক্তির হিসাবে ওই দুই দেশের মিলিত বাহিনীর চাইতে তালেবানের সৈন্য সংখ্যা বেশি। ফলে যে কোনও মুহূর্তে আফগানিস্তান থেকে যুদ্ধের দাবানল এই দুই দেশে ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর তেমন হলে রীতিমতো বিপাকে পড়বে রাশিয়া।
কারণ মস্কোর প্রতিপত্তি থাকা মধ্য এশিয়ার এই দেশগুলিতে তালেবান শিকড় ছড়ালে রুশ ভূখণ্ডে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনব বেড়ে যাবে। এমনিতেই মুসলিম চেচেন জঙ্গিরা বহুবার মস্কোর রক্তচাপ বাড়িয়েছে। তাই আফগান সীমান্তের বাইরে তালেলিবানের উত্থান পুতিন প্রশাসনের চিন্তার কারণ হয়ে উঠবে।
সূত্র- দ্যা ডিপ্লোম্যাট।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ আল সিফাত