সম্প্রতি ট্রেন থেকে এক জোড়া ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কয়েক ঘণ্টার পর পানির নিচ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে প্রতিদেশী দেশ দক্ষিণ কোরিয়াও।
তবে দুই কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার চেয়েও আন্তর্জাতিক স্তরে বেশি চিন্তা বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের পরমাণু শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, ইয়ংবিয়ন-এ ইউরেনিয়াম পরিশোধনের কারখানাটিতে সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে।
যার অর্থ, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময় আমেরিকার সঙ্গে আলোচনার পরে পরমাণু অস্ত্র তৈরির ওপর কিম নিজে থেকে যে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছিলেন, এখন তা আবার উঠিয়ে নিচ্ছেন।
এদিকে, উপগ্রহ চিত্রে পাওয়া এসব ছবি নিয়ে নিজের বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছেন মার্কিন বিশেষজ্ঞ জেফরি লুইস।
মন্টেরের মিডলবারি ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজে কাজ করেন জেফরি লুইস। তিনি বলেন, পিয়ংইয়ং হয়তো অস্ত্র বানানোর উপযোগী পারমাণবিক উপকরণের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
তিনি জানান, উত্তর কোরিয়ায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বর্তমান স্থাপনাটির পাশে সম্প্রসারণের জন্য নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। ১ সেপ্টেম্বর তোলা ছবিতে খনন যন্ত্র বলে মনে হওয়া একটি যন্ত্র দেখা যাচ্ছে। ১৪ সেপ্টেম্বর তোলা আরেকটি ছবিতে জায়গাটিকে ঘিরে দেওয়ার জন্য বানানো একটি দেয়াল দেখা যাচ্ছে।
প্রতিরক্ষা নজরদারি জোট ‘আর্মস কন্ট্রোল ওয়ঙ্ক’ এবং আরও অন্তত ৩৮টি ওয়েবসাইট জানাচ্ছে, কিম বড় পরমাণু বোমা তৈরির লক্ষ্যে সামনে এগোবেন বলে সম্প্রতি যে ঘোষণা করেছেন, ইয়ংবিয়ন শোধনাগারের সম্প্রসারণ তারই ধারাবাহিকতা।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন