কাতারে প্রথমবারের মতো আইনসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন নারী প্রার্থীরাও। সংখ্যা কম হলেও এই বিষয়টিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
শনিবার স্থানীয় সময় ভোর ৫টায় শুরু হয় ভোটগ্রহণ এবং স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় শেষ হবে ভোটগ্রহণ। নির্বাচনের দিনই ফল প্রকাশিত হবে।
নতুন অনুমোদিত আইন অনুযায়ী, ৪৫ সদস্যের শুরা কাউন্সিলের ৩০ সদস্য নির্বাচিত হবেন। আইনসভার এই ৩০ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ২৮৪ জন। তাদের মধ্যে নারী প্রার্থী ২৮ জন।
জানা গেছে, বাকি ১৫ আসনে জনপ্রতিনিধি নিয়োগ করবেন কাতারের আমির নিজে। মনোনীত ও নির্বাচিত সদস্যদের অধিকার ও দায়িত্ব একই থাকবে। তারা সরকারের সাধারণ নীতি ও বাজেট অনুমোদন করবেন।
কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ খালিদ বিন খলিফা আল থানি জানিয়েছেন, পুরো দেশকে ৩০টি নির্বাচনী জেলায় ভাগ করা হবে। প্রতিটি জেলা থেকে একজন করে প্রতিনিধি নির্বাচিত হবেন। নতুন আইন অনুযায়ী, ১৮ বছরের বেশি বয়সী কাতারের সব নাগরিক ভোট দিতে পারবেন।
কাতারের জন্য এই দিনটিকে গণতন্ত্রের জন্য একটি বড় দিন হিসেবেই দেখা হচ্ছে বলে মত বিশেষজ্ঞরা মহলের।
গত ২৯ জুলাই কাতারে জাতীয় নির্বাচন-সংক্রান্ত আইনে স্বাক্ষর করেন দেশটির আমির। এর মাধ্যমে দেশটিতে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আইনপ্রণেতা বেছে নেওয়ার সুযোগ পেতে যাচ্ছে কাতারের জনগণ।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন