করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। এখন পর্যন্ত প্রতিবেশী ভারতসহ প্রায় ২৫টি দেশে শনাক্ত হয়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ব্যক্তি।
এদিকে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং যে অভিজ্ঞতা অর্জন করা গেছে সেগুলো ওমিক্রনের ক্ষেত্রেও কার্যকর।
শুক্রবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক ড. তাকেশি কাসাই জানান, কয়েকটি আঞ্চলিক দেশে বাড়লেও, অন্য অনেক দেশেই কোভিড আক্রান্ত ও মৃত্যু কমছে।
ফিলিপাইনের ম্যানিলা থেকে সম্প্রসাচিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ভাইরাসটির আগমণ বিলম্বিত করতে পারে এবং সময় পাওয়া যেতে পারে। তবে প্রত্যেক দেশ এবং প্রতিটি জনগোষ্ঠীকে নতুন করে আক্রান্ত বাড়ার বিষয়ে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এসবের মধ্যে ইতিবাচক খবর হলো-ওমিক্রন নিয়ে এখন পর্যন্ত আমরা যেসব তথ্য পাচ্ছি তাতে আমাদের প্রতিক্রিয়ার দিক বদলানোর দরকার পড়বে না।’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রাথমিকভাবে দেখা গেছে পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি থাকে। নতুন রূপে সংক্রমিত হতে পারে। ডেল্টা এবং করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় 'ওমিক্রন' এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তির মধ্যে বেশি সংক্রমিত হতে পারে কি না তা এখনও স্পষ্ট নয়। ওমিক্রন এর উপর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন কতটা কার্যকরি তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন