করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন দেশে দেশে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে।দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্তের পর ভাইরাসের এই ধরনটি বিশ্বের প্রায় ৩০ দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
ওমিক্রন ডেল্টা ও বিটার তুলনায় তিনগুণের বেশি পুনঃসংক্রমণ ঘটাতে পারে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা প্রাথমিক এক সমীক্ষায় এ কথা জানান।
বিজ্ঞানীরা জানান, দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা থেকে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত এবং প্রথম মহামারি সংক্রান্ত তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে পূর্বের সংক্রমণ থেকে ইমিউনিটি এড়াতে ওমিক্রনের সক্ষমতা যাচাই করে এই ফলাফল পাওয়া যায়।
গবেষণা প্রতিবেদন রিভিউয়ের আগে মেডিকেল সার্ভারে আপলোড করা হয়েছে। এখনও গবেষণার পর্যালোচনা সম্পন্ন হয়নি।
গবেষকরা জানিয়েছেন, গত ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত আক্রান্ত ২৮ লাখ লোকের মধ্যে ৩৫ হাজার ৬৭০ জন পুনঃসংক্রমিত হয়েছেন। ৯০ দিনের ব্যবধানে আক্রান্ত হলে সেগুলোকে পুনরায় সংক্রমণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে ওই গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, যাদের শরীরে ফের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাদের বেশিরভাগই ভাইরাসের ডেল্টা সংক্রমণের সময় আক্রান্ত ছিলেন।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়া ৩০ দেশ হলো-
ভারত-শনাক্ত ২, দক্ষিণ আফ্রিকা-শনাক্ত ১৮৩, বতসোয়ানা-শনাক্ত ১৯, নেদারল্যান্ডস- শনাক্ত ১৬, হংকং-শনাক্ত ৭, ইসরায়েল-শনাক্ত ২, বেলজিয়াম-শনাক্ত ২, যুক্তরাজ্য-শনাক্ত ৩২, জার্মানি-শনাক্ত ১০, অস্ট্রেলিয়া-শনাক্ত ৪, ইতালি-শনাক্ত ৮, চেকিয়া-শনাক্ত ১, ডেনমার্ক-শনাক্ত ৬, অস্ট্রিয়া-শনাক্ত ৪, কানাডা-শনাক্ত ৭, সুইডেন-শনাক্ত ৪, সুইজারল্যান্ড-শনাক্ত ৩, স্পেন-শনাক্ত ২, পর্তুগাল-শনাক্ত ১৩, জাপান-শনাক্ত ২, ফ্রান্স- শনাক্ত ১, ঘানা-শনাক্ত ৩৩, দক্ষিণ কোরিয়া-শনাক্ত ৩, নাইজেরিয়া-শনাক্ত ৩, ব্রাজিল- শনাক্ত ২, নরওয়ে-শনাক্ত ২, সৌদি আরব-শনাক্ত ১, আয়ারল্যান্ড-শনাক্ত ১, সংযুক্ত আরব আমিরাত-শনাক্ত ১ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-শনাক্ত ১।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন