লাইভে এসে যুদ্ধবিরোধী প্রতিবাদ করে আলোচনায় আসেন রুশ সাংবাদিক ম্যারিনা ওভিয়ানিনকোভা। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সংবাদ বিভাগের প্রধান কিরিল ক্লেমেনভ অভিযোগ করেছিলেন এমন প্রতিবাদের আগে ব্রিটিশ দূতাবাসের সাথে যোগাযোগ করেছিলেন ম্যারিনা।
তবে তিনি ব্রিটিশ দূতাবাসের মদদেই এমনটা করেছেন, সরাসরি তেমন কোনো কথা বলেননি ক্লেমেনভ। তবে তার ইঙ্গিতের জবাবে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্র ও কমনওয়েলথ কার্যালয় জানিয়েছেন, ওই সাংবাদিকের সাথে যুক্তরাজ্যের কোনো যোগাযোগ নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ম্যারিনার সাথে আমাদের কোনো যোগাযোগ নেই। মিথ্যা প্রচার যন্ত্রে আরও একটা প্যাডেল দেওয়া হয়েছে।’
এর আগে ম্যারিনাকে বিশ্বাসঘাতক বলেছেন, রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের সংবাদ বিভাগের প্রধান কিরিল ক্লেমেনভ। নারী সাংবাদিক ম্যারিনা ওভিয়ানিনকোভার এই আচরণের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ভেতরের আবেগের বহিঃপ্রকাশ এক বিষয়, আর বিশ্বাসঘাতকতা আরেক বিষয়।’ ম্যারিনা পরিকল্পিতভাবেই এমনটা করেছেন বলে দাবি করেছেন এই রুশ কর্তা।
লাইভ সংবাদে ম্যারিনা প্ল্যাকার্ডে শুধু ‘যুদ্ধ চাই না’ বলেই থামেননি। তিনি আরও লিখেছিলেন, ইউক্রেন অভিযান সম্পর্কে রুশ গণমাধ্যম যে খবর দিচ্ছে তাও মিথ্যা। এই ঘটনায় তাকে আটক করা হয়েছে, সাথে ৩০ হাজার রুবল জরিমানাও করা হয়েছে।
সূত্র: বিবিসি
বিডি প্রদতিদিন/নাজমুল