জো বাইডেনের এই বক্তব্যের একদিন পরই এবার সেই ‘নড়বড়ে’ ভারতকেই ‘অপরিহার্য অংশীদার’ আখ্যা দিল মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস।
মঙ্গলবার তিনি বলেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অপরিহার্য অংশীদার ভারত। কারণ উভয় দেশই একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের দৃষ্টিভঙ্গি ভাগ করে নেয়। ঐতিহাসিকভাবে প্রতিরক্ষা খাতে রাশিয়া ও ভারতের সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক আমাদের সম্পর্কের মাঝে আসে না। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পছন্দের অংশীদার।”
ভারতের অবস্থান প্রসঙ্গে নেড প্রাইস বলেন, “এটা ইতিহাস বনাম বর্তমানের প্রশ্ন... ভারতের অবশ্যই রাশিয়ার সাথে ঐতিহাসিকভাবে প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা খাতে সম্পর্ক রয়েছে। সেই সম্পর্ক যুগে যুগে তৈরি হয়েছে এবং তারা এমন এক সময়ে একত্রিত হয়েছিল যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা আমাদের কিছু অংশীদার ভারতের সাথে এই ধরনের সম্পর্ক রাখতে প্রস্তুত ছিল না। সেই সময়টা খুবই আলাদা ছিল। কিন্তু সেই সময়গুলো বদলে গিয়েছে। ভারতের শক্তিশালী প্রতিরক্ষা অংশীদার হওয়ার জন্য আমাদের ইচ্ছা ও ক্ষমতার পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি বদলেছে। এটি একটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক যা গত ২৫ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে গভীর হয়েছে।”
উল্লেখ্য, আমেরিকা সম্প্রতি রাশিয়ার তেলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আর এরই মাঝে ভারত রাশিয়া থেকে কম দামে তেল কিনতে চলেছে। এই নিয়ে আমেরিকা ও ভারতের মধ্যে আলোচনা হয়েছিল। আমেরিকা চেয়েছিল যাতে ভারত রাশিয়ার থেকে তেল না কেনে। তবে ভারত নিজেদের স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতির অন্তর্গত আমেরিকার দ্বারা এই ক্ষেত্রে প্রভাবিত হয়নি। এর আগে রাশিয়া থেকে এস-৪০০ মিসাইল সিস্টেম কেনা নিয়েও আমেরিকা ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। তবে তাতেও ভারত মাথা নত করেনি। এই আবহে বাইডেনের গলায় অসন্তোষ ঝরে পড়ে। তবে দ্রুত সেই সুর বদলাল ওয়াশিংটন। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস, ফার্স্টপোস্ট, লাইভমিন্ট
বিডি প্রতিদিন/কালাম