পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন না করেই জাতীয় পরিষদের অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করা হয়েছে।
পাকিস্তানের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন শুরু হয়। প্রয়াত জাতীয় পরিষদ সদস্য খায়াল জামান ও সাবেক প্রেসিডেন্ট রফিক তারারের জন্য দোয়া করা হয়। এরপর স্পিকার আসাদ কায়সার বলেন, জাতীয় পরিষদের কোনো সদস্যের মৃত্যু হলে পার্লামেন্টের রীতি অনুযায়ী অধিবেশন মুলতবি করতে হয়। আগামী সোমবার (২৮ মার্চ) বিকেল চারটা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেন তিনি।
বিরোধী দলগুলো গত ৮ মার্চ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধেঅনাস্থা প্রস্তাব জমা দেয়। এ প্রস্তাব নিয়ে ২২ মার্চের মধ্যে অধিবেশন আয়োজন করার কথা ছিল। কিন্তু ২২ মার্চ থেকে জাতীয় পরিষদে ওআইসির দুই দিনব্যাপী পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন শুরু হওয়ায় তা আর হয়নি। এমন অবস্থায় আজ অধিবেশন ডাকেন স্পিকার।
জাতীয় পরিষদ সচিবালয় থেকে অধিবেশনের জন্য ১৫ দফার আলোচ্যসূচি দেওয়া হয়। এ সূচিতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের বিষয়টিও উল্লেখ করা ছিল।
তবে আলোচ্যসূচিতে থাকার পরও অধিবেশনে আলোচনার জন্য অনাস্থা প্রস্তাবটি উত্থাপন হবে কি না, তা নিয়ে আগে থেকেই সংশয় ছিল। ধারণা করা হচ্ছিল, জাতীয় পরিষদ সদস্য খায়াল জামানের মৃত্যুর পর আয়োজিত অধিবেশনের প্রথম দিনটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় চলবে না। সংসদীয় বিধি অনুযায়ী, পরিষদের কোনো সদস্যের মৃত্যু হলে প্রথম দিনের অধিবেশনটি বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে যায়।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, ৩৪২ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় পরিষদে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাব পাসের জন্য প্রয়োজন ১৭২ ভোটের। বিরোধীদলগুলো এই পরিমাণ ভোট নিশ্চিত করতে পারলে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইমরান খানকে সরে দাঁড়াতে হবে।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল