আজ মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় বসতে যাচ্ছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধি। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টা (বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টা) এই আলোচনা শুরু হওয়ার কথা।
আলোচনার শুরুর আগে উভয় দেশের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে স্বাগত বক্তব্য রাখেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
এ সময় তিনি বলেন, “ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কি ও রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন দু’জনই আমাদের ‘মূল্যবান বন্ধু’।”
তিনি বলেন, এই আলোচনার অগ্রগতি উভয় দেশের নেতাদের সাক্ষাতের পথ প্রশস্ত করবে এবং আশা করছি সেই আলোচনাও তুরস্ক আয়োজন করতে পারবে।
রাশিয়ান এবং ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, “জানি, উভয়পক্ষেরই ‘বৈধ উদ্বেগ’ রয়েছে। তবে আমরা এমন একটি মুহূর্তে পৌঁছেছি যখন আলোচনার ‘নির্দিষ্ট ফলাফল’ পাওয়া দরকার।”
এরদোয়া বলেন, “একটি ‘ন্যায্য শান্তিতে’ কোনও পক্ষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। আর সংঘাত অব্যাহত থাকলে কোনও পক্ষই লাভবান হবে।”
“আমরা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আপনাদের স্বাগত জানাতে এবং শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টায় অবদান রাখতে পেরে আনন্দিত। আমি চাই এই বৈঠক এবং আলোচনা আপনার দেশ, আমাদের অঞ্চল এবং সমস্ত মানবজাতির জন্য মঙ্গলজনক বলে প্রমাণিত হবে,” বলেন তিনি।
এ সময় তিনি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান এবং বলেন এই ট্র্যাজেডি বন্ধ করা আপনাদের দুইপক্ষের ব্যাপার।
উল্লেখ্য, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। ইউক্রেনের লুহানস্ক ও ডোনেটস্ক অঞ্চলকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এরপর ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এরই মধ্যে মঙ্গলবার ৩৪তম দিনে গড়িয়েছে রাশিয়ার অভিযান। বিগত ৩৩ দিনে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। এই সময়ে নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে ইউক্রেন। সূত্র: বিবিসি, দ্য গার্ডিয়ান
বিডি প্রতিদিন/কালাম