সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনের লুহানস্ক ও ডোনেটস্ক অঞ্চলকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় দ্বিতীয় বৃহত্তম পরাশক্তি রাশিয়া। এরপর ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ বাহিনী। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ৩৬তম দিনে গড়িয়েছে রাশিয়ার অভিযান। এই সময়ে ইউক্রেনের বেশ কয়েকটি নগরী দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। তবে নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টাও করে যাচ্ছে ইউক্রেন।
এদিকে, যুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে ভীষণ মানসিক চাপে পড়েছে রুশ সেনারা। মনোবল হারিয়ে তারা সেনাপ্রধানদের আদেশ মানছে না। ঘাটতি দেখা দিয়েছে সেনাবাহিনীর অস্ত্রশস্ত্র এবং মনোবলেও। এমনটিই দাবি করলেন ব্রিটিশ গোয়েন্দা, সাইবার এবং নিরাপত্তা সংস্থা গভর্নমেন্ট কমিউনিকেশনস হেডকোয়াটার্স-এর প্রধান জেরেমি ফ্লেমিং।
বুধবার ক্যানবেরায় অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “আমরা রাশিয়ার সৈন্যদের দেখেছি। তাদের মধ্যে অস্ত্র এবং মনোবলের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। তারা উপরমহলের আদেশ পালন করতে অস্বীকার করছে। এখন তারা নিজেরাই নিজেদের যুদ্ধসরঞ্জাম নষ্ট করছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও ইউক্রেনের সামগ্রিক পরিস্থিতি বুঝতে ভুল করেছেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। জেরেমি বলেন, “এটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে যে পুতিন পরিস্থিতি বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার আচরণে এটা স্পষ্ট যে তিনি ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দেননি।”
এমনকি ক্রেমলিনের পাঠানো সেনা খুব সহজেই কিয়েভ দখলে সফল হবে বলে পুতিন যে ধারণা করেছিলেন তাও ভুল ছিল বলেই মন্তব্য করেন জেরেমি। তিনি আরও জানান, পুতিনের উপদেষ্টারা তাকে সত্যি কথা বলতে ভয় পাচ্ছেন। তবে এই ভুল সিদ্ধান্তের পরিণাম যে এই যুদ্ধে রাশিয়ার হার, সেই ইঙ্গিতও করেন জেরেমি।
কিয়েভ দখলের নেশায় মত্ত হয়ে পুতিন কুখ্যাত ওয়াগনার বাহিনীকে কাজে লাগাচ্ছে বলে যে জল্পনা দেখা দিয়েছিল, তাও সত্যি বলেই দাবি করেন জেরেমি।
প্রসঙ্গত, ওয়াগনার গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যুদ্ধবিদ্ধস্ত বিভিন্ন দেশে অপরাধমূলক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগ রয়েছে। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
বিডি প্রতিদিন/কালাম