মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আলোচিত বন্দুক নিয়ন্ত্রণ বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন। এর আগে, যুক্তরাষ্ট্রে গত ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ বিলটি কংগ্রেসে পাস হয়। ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান দুই দলের সদস্যদের সমর্থনে চলতি সপ্তাহে বিলটি মার্কিন কংগ্রেসের উভয়কক্ষে পাস হয়।
শনিবার (২৫ জুন) রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে হোয়াইট হাউজে বিলটিতে সই করেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এদিকে, মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে বন্দুক নিয়ন্ত্রণ আইন হওয়াকে জো বাইডেনের বড় বিজয় বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিলটিতে স্বাক্ষর করার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, বন্দুক হামলায় নিহতদের স্বজনরা মার্কিন সরকার কিছু করবে বলে আশা করেছিলেন। আজ আমরা সেটি করেছি। আমি যা চাই যদিও এই বিলটি তা করে না, তবে এতে এমন কাজ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা আমি আগে থেকেই বলে আসছি এবং যেটি মানুষের জীবন বাঁচাতে চলেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলা ও হত্যাকাণ্ডের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় আইন পাসের কথা বলেন বাইডেন। পরে কংগ্রেসে এ বিল নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। কয়েকদিন আগে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সদস্যদের সমর্থনে বিলটি কংগ্রেসের উভয়কক্ষে পাস হয়।
নতুন এ আইনের আওতায় যারা অস্ত্র কিনবেন তাদের পূর্বাপর তথ্য যাচাই করা হবে। অল্প বয়সী বন্দুক ক্রেতাদের কড়া নজরদারি করা হবে। সহিংস, ঝুঁকিপূর্ণ বা হুমকি হিসেবে বিবেচিত ব্যক্তিদের কাছ থেকে বন্দুক সরিয়ে নিতে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের প্রশাসনকে উৎসাহিত করতে বলা হয়েছে।
যে বন্দুক আইনটি পাস হলো, এতে আরও কড়াকড়ি চেয়েছিলেন বাইডেন। আইনটিতে আরও বড় সংস্কারের জন্য তিনি চাপ দিচ্ছিলেন। অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স সীমা বাড়ানো ও অল্প স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আনার কথাও তিনি বলেছিলেন।
অপরদিকে, বন্দুক আইন সম্পর্কিত বিলের বিরোধিতা করছে ন্যাশনাল রাইফেলস এসোসিয়েশন (এনআরএ)। এ আইন সহিংসতা রোধ করতে পারবে না বলে যুক্তি দিয়েছে তারা। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বন্দুক হামলার ঘটনা বেড়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। বিশেষ করে গত মাসে নিউইয়র্কের বাফেলোর একটি সুপারমার্কেটে, টেক্সাসের উভালদে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বন্দুক হামলায় অন্তত ৩১ জন নিহত হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে মার্কিন প্রশাসন।
সূত্র: বিবিসি, ওয়াশিংটন পোস্ট।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ