শ্রীলঙ্কার হাজার হাজার প্রতিবাদকারী এখনো দেশটির প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী ও সরকারি ভবনগুলোতে অবস্থান করছেন।
নজিরবিহীন অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে গত শনিবার তারা কারফিউ উপেক্ষা করে ভবনগুলো দখল করেন।
প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে আগামীকাল বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করবেন। প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেও সর্বদলীয় সরকার গঠনে পদত্যাগ করবেন বলে জানিয়েছেন।
তবে বিক্ষোভকারীরা সর্বদলীয় সরকারের ধারণা প্রত্যাখান করে বলছেন, প্রেসিডেন্ট-প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক পদত্যাগের পূর্বে তারা সরকারি ভবন ছাড়বেন না।
কী চান বিক্ষুব্ধরা
সাবের মাহমুদ নামে একজন প্রতিবাদকারী বলেন, আমরা প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে ও প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাংসিংহের তাৎক্ষণিক পদত্যাগ চাই। এরপর অন্তত ৬ মাস অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হোক। তারা সর্বদলীয় সরকারের বিরুদ্ধে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, অধিকাংশ প্রতিবাদকারী চান না, রাজপাকসে পরিবার নিয়ন্ত্রিত পদুজানতা পার্টি (এসএলপিপি) সরকারের অংশ হোক।
মেলানি গুনাথিলেক নামে আরেকজন বিক্ষুব্ধ বলেন, প্রতিবাদকারী নেতারা সর্বদলীয় সরকারের ঘোরবিরোধী। কারণ, এটা হলে রাজাপাকসে পরিবার পেছন থেকে কলকাঠী নারবেন।
৩৫ বছর বয়সী এই নারী আরও বলেন, আমাদের অনুরোধ একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হোক।
শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ এখনো চলমান। কারণ, বিক্ষোভকারীরা এখনো দুই নেতার পদত্যাগের ব্যাপারে সন্দিহান। বিক্ষোভে নেতৃত্ব প্রদানকারী ছাত্রনেতা লাহিরু বিরাসেকারা বলেন, আমাদের যে সংগ্রাম, তা এখনো শেষ হয়নি। প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসে বিদায় না নেওয়া পর্যন্ত আমরা হাল ছাড়ব না।’
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল