বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম শুধু একজন রাষ্ট্রনায়কই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ব্যক্তিত্ব— এমন মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ।
তিনি বলেন, "মহান মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান একজন সশস্ত্র বীর যোদ্ধা হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন। চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার প্রথম ঘোষণা দিয়ে জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করেছেন। তাঁর সাহসিকতা, আত্মত্যাগ ও নেতৃত্ব একটি জাতিকে মুক্তির পথে পরিচালিত করে।"
শনিবার (২৪ মে) শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভাটি পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব নাজিমুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম. এ. আজিজ, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এস. এম. সাইফুল আলম, হারুন জামান, শাহ আলম, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, শওকত আজম খাজা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আহম্মেদুল আলম চৌধুরী, শিহাব উদ্দিন মুবিন, মনজুরুল আলম মঞ্জু, নগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহেদ, ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম।
এরশাদ উল্লাহ আরও বলেন, “দেশ তখন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল। এমন পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব নিয়ে জিয়াউর রহমান দেশ পুনর্গঠনের অভিযানে নামেন। তিনি দুর্নীতিগ্রস্ত ও বিক্ষিপ্ত প্রশাসনকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনেন, অর্থনীতিকে সচল করেন, কৃষি বিপ্লব ঘটান, শিল্প স্থাপন করেন এবং শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটান।"
"তিনি মানুষের মধ্যে আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলেন— বাংলাদেশ পারে, এ জাতি সক্ষম। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে মতপ্রকাশের অধিকার ফিরিয়ে দেন, সংবাদপত্রে মুক্তচিন্তার সুযোগ তৈরি করেন এবং জাতীয় সংলাপের সংস্কৃতি চালু করেন," বলেন তিনি।
এরশাদ উল্লাহ বলেন, “জিয়াউর রহমানের দেওয়া জাতীয়তাবাদী দর্শন বাংলাদেশের জনগণের আত্মপরিচয়ের ভিত্তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিসরে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছিলেন এবং উন্নয়নশীল বিশ্বের কাছে এক উদাহরণ তৈরি করেছিলেন।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক