২০২৪ লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ শুরু করতে চলেছে দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। তামিলনাড়ুর কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মির পর্যন্ত ৩৫০০ কিলোমিটার পদযাত্রার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলটি।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে এ কর্মসূচি শুরু করবে কংগ্রেস। ৮০ বছর পূর্বে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত ছাড়ো আন্দোলন শুরু হয়েছিল ৭ সেপ্টেম্বর। আজকের দিনে সেই কারণে কেন্দ্রের মসনদ থেকে নরেন্দ্র মোদিকে হটাতে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করতে চলেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, মোদি সরকারের তৈরি করা বেকারত্ব, অর্থনৈতিক বৈষম্য, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতেই তাদের এই কর্মসূচি। রাহুল গান্ধি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধিসহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা এতে অংশ নেবেন।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ আসলে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করার পরিকল্পনা। উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি তলানিতে। দলের এই মৃতপ্রায় অবস্থা থেকে কর্মীদের উজ্জ্বীবিত করতেই এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে দলটি।
কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম কর্মসূচির বিষয়ে একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি দলের কর্মীদের উদ্দেশে লিখেছেন, দয়া করে একবার ভারত ছাড়ো আন্দোলনের ইতিহাস পড়ে নিন। ১৯৪২ সালের ৯ আগস্ট সারা দেশ জুড়ে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। কংগ্রেস দল নিষিদ্ধ হয়েছিল, নেতাদের গ্রেফতার করা হয়, দলের দপ্তরে তল্লাশি চালানো হয় এবং তহবিল বাজেয়াপ্ত করা হয়। তা সত্ত্বেও গোটা দেশে এই আন্দোলনের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘এই আন্দোলনের পাঁচ বছর পর কংগ্রেসের নেতৃত্বে ভারতের স্বাধীনতা আসে। স্বাধীন ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন জওহরলাল নেহেরু।’
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন